ছোট বেলায় শিশুরা অনেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে স্কুলে যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই সৌভাগ্য হয়নি। বাবার সাথে দেখা হতো জেল গেটে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে দেখা করতে যেতেন জেল গেটে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্কুল শিশুরা উপস্থিত ছিল। এ সময় কথা বলতে গিয়ে তার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে।
তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের মানুষের প্রতি যে প্রেম, ভালোবাসা ছিল তা তুলে ধরেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক না। ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন দেশের মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর শিক্ষার অভাবে জর্জরিত ছিল। আজকে বাংলাদেশ বদলে যাওয়া একটি দেশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা কেউ ভাঙতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানস্থলে থাকা শিশুদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় তোমরা শিশুরা অনেকেই তো বাবা-মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাও। কিন্তু আমাদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। আমাদের বাবা থাকতেন কারাগারে। মাসে দুবার যেতে পারতাম। জেল গেটে দেখা করতে গেছি স্কুল থেকে, কলেজ থেকে, ইউনিভার্সিটি থেকে। এই ছিল আমাদের জীবন। কিন্তু আমাদের কোন ক্ষোভ ছিল না। আমরা জানি আমাদের বাবা সংগ্রাম করছেন, এ দেশের মানুষের জন্য। তার স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের ঘর হবে, চিকিৎসা পাবে, শিক্ষা পাবে। কিন্তু তিনি সেটি সম্পন্ন করতে পারেননি।’
‘তবে টুকু বলতে পারি, আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অনেকদূর অগ্রসর হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অনেকটা এগিয়েছে বাংলাদেশ। আজকের শিক্ষার্থী, যারা এখানে আছে, তারাই হবে আগামীর স্মার্ট নাগরিক। এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।