যারা হারায়
তারা একেবারেই কি হারায়!
যারা মুছে যায়
তারা চিরতরে কি মুছে যায়!
যারা চলে যায়
তারা সত্যিই কি চলে যায়!
নাকি,তারা খসা
কোনো রাতে তারা ফেরে-
নীলনদের ইশারায়!
জমাটবাঁধা লাল কলিজার
গহ্বরে জন্মানো ভালোবাসায়,
মস্তিষ্কের ধূসরে
গজিয়ে ওঠা বোধে,
জোনাকির মতো
জ্বলজ্বল করা স্বপ্নে-
তারা কি মৃত!অথবা
ছাতিয়ানের গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকে
আরো একবার শরীরি আশায়!
সব শুরু কি
আদপেও শুরু ! অথবা
সব শেষ কি শিকড়হীন?
ধূমকেতূ ছুঁতে চাওয়া মন সব
ছটফট করে
বকুলের আতর হওয়ার!
ফেলে যাওয়া সোঁদোমাটি,
ছুয়ে যাওয়া দেহাঞ্চল-
সবই কি ছিলো?সবই কি আছে!
রাতজাগা প্যাঁচা আর লক্ষ্মী প্যাঁচার
যুগলবন্দী হয় যে দিগন্তে,
অমানুষিক টানাপোড়েন
বিদ্রুপ হয় যে মহাকাশে,
আলো অন্ধকার মিলেমিশে
একাকার হয় যে অনন্তে,
সবশেষের শিঙা আর
সব শুরুর শঙ্খ বেজে ওঠে-
জন্মায়না শরীর, জন্মায় এক চেতনা!
যা হারায়-
তা ফেরে আরও একবার!
যে যায়-
সে ছোঁয় আরো একবার!
শরীর ও অশরীরি লড়াই
বারবার হারে ও জেতে!
বারবার যাওয়া ও আসার
নাটকের মঞ্চস্থতা! আসলে-
কেউ যায়না,কিছুই যায় না চলে!
লেখিকাঃ ঊষসী