দমনের নিদ্রাবিহীন রাতগুলোতে সম্রাট ক্লডিয়াস কি বিরহের বেহালার করুণ সুর শুনেছেন? রোম জ্বলতে জ্বলতে প্রেমের কবরস্থান হয়ে যায়। যুদ্ধবাজ সম্রাটের ইশতেহারে গোলাপ ফুল শুকিয়ে গেলে, কুয়াশা কঠিন হয় প্রেমের বৃক্ষরোপণ প্রকল্প। যুদ্ধের আফিমে আসক্ত সম্রাট প্রেমিকের পরিবর্তে সৈনিক খোঁজেন। পৃথিবী কি একদিনও থেকেছে প্রেমহীন। না, হলুদ বাগানগুলো বারবার হাতছানি দেয় ফুল পিপাসী হৃদয়। অশ্ব খুরের আওয়াজ, তলোয়ারের ক্ষুরধার আঁচড়, ভয়ের লালদিন পাশে বসিয়ে নিজেকে মধুর জগতের ত্রাতা হিসেবে হাজির যাজক ভ্যালেন্টাইন। আনন্দের ঘুড়ি জোড়ায় জোড়ায় আকাশে ওড়ালে নিরাশার কালো মেঘ সরে হেসে ওঠে রোম। ক্লডিয়াসের ক্রোধের জালে আটকা পড়ে প্রেমিক যাজক। জল্লাদের তলোয়ারের ভাষায় ফয়সালা হয়ে যায় ভ্যালেন্টাইনের বুক ভরা ভালোবাসা। ২৬৯ খ্রীস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারী, ইহলোক ছেড়ে পারলৌকিক পথের পালকিতে সওয়ারী ভ্যালেন্টাইন। আত্মা দেহ ছাড়ার আগে শেষ চিঠিতে নিজ প্রেমিকাকে লিখে যান সেই অমর বাক্য ………. … ” তোমার ভ্যালেন্টাইন”…
খুঁজে- খুঁজে অবশেষে হলুদ বাগানের দেহগন্ধ
নিশ্বাসে উতলে যায় বলগ ওঠা প্রেম
অনন্ত আকাশ জুড়ে নক্ষত্রের মেলায়
আমরা চলেছি ভালোবাসার ভেলায়
তিনহাজার পঞ্চাশ বছর পর ভাবনার হলুদখাম খুলে
অপরাহ্নের প্লাটফর্মে হাজির ভ্যালেন্টাইনের অরণ্য
ক্লডিয়াস যে বীজ ধ্বংস করতে পারেনি
সবুজ ঘাসে সেই গাছটা রোপণ করি
অতপর: হাত ধরে পৃথিবীর ওপারে হেঁটে যাই দু’জন