নব্বই দশকের শুরু থেকেই লেখালেখির পাঠশালায় তৌফিক জহুর। কবি তৌফিক জহুরের প্রবন্ধ লেখার ঢং ও স্টাইল তাঁর সমসাময়িকদের কাছে ঈর্ষণীয়। বুদ্ধদেব বসু, আবদুল মান্নান সৈয়দের গদ্যে যে নিরীক্ষা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তা তৌফিক জহুরের গদ্যে পাওয়া যায়। গবেষণামূলক গদ্যে তাঁর পারহঙ্গমতা যেমন পাওয়া যায়, তেমনি কবিতায় সহজ সরল দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে দিয়ে তিনি প্রকাশ করেন মনের অব্যক্ত কথা। তৌফিক জহুর মূলত প্রেমের কবি।
পৈত্রিক নিবাস মানিকগঞ্জ। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিতার কর্মসূত্রে বগুড়া শহরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়ো। বাবা মরহুম আবদুল লতিফ চৌধুরী ও আম্মা জহুরা চৌধুরীর একমাত্র ছেলে তিনি। ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে বগুড়ার মালতি নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৯০ সালে সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে এইচএসচি, এরপর ঐতিহ্যবায়ী সরকারি আযীযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্নাতক হন। কলেজ জীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু স্থানীয় দৈনিকে। ১৯৯৩ সাল থেকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে, সাপ্তাহিকে খণ্ডকালীন কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক জনকণ্ঠ। এছাড়া পাক্ষিক সাদাকালো দৈনিক সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে সাপ্তাহিক রোববার, সাপ্তাহিক বৈচিত্র পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখযোগ্য বইসমূহ
১. তৃষার্ত চোখের আকুতি
২. আল মাহমুদ এবং অন্যান্য ( প্রবন্ধ গ্রন্থ)
৩. পাখি বিক্রি কাহিনি
৪.কে তোমাকে ডেকে নিয়ে যায় বারেবারে
৫.এ শহরে আমার কোনো প্রেমিকা নেই
৬.ঠান্ডা মাংস এবং আগুনের চুল্লি ( যৌথ কাব্য গ্রন্থ)
৭.শব্দের ওন্কার (যৌথ কাব্য গ্রন্থ)
১৯৯৮ সাল থেকে লিটল ম্যাগাজিন ‘উদ্যান’ সম্পাদনা করছেন। লেখালেখি, পড়াশোনা, আড্ডা আর ভ্রমণ তাঁর শখ।