সখী তোমার মত একজন বন্ধু প্রতিটি মানুষের জীবনে থাক!
হ্যা আমি এখন যে মানুষ টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি।
২০১৫ সালে কলেজে ভর্তি হলাম। ওই মুহুর্তে তোমার সাথে আমার পরিচয়। দিন যেতে থাকলো পরিচয় এর বিস্তার হতে থাকলো। এইভাবে দিন দিন আমরা নিজের মত সব কিছু তে এক হতে থাকলাম। হয়ে উঠলাম ভালো একটা ফ্রেন্ড। সাথে পরিবারের মত একজন।
সখীর প্রতিটি কাজে আমার ইন্টার ফেয়ার না থাকলে তো হয় না! সকালে ঘুম ভেজ্ঞে সখীর সাথে কথা শুরু করেছি। রাতে ঘুমাতে যেয়ে তার সাথে কথা বলে ঘুমাতে গেছি। তার পরিবার এর সাথে অনেক ভালো একটা রিলেশন হয়ে উঠল।
সব থেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার এইখানে তাদের কোন ভাই নাই কিন্তু পরিবার এর বৌমা হয়ে গেছি মজা করতে করতে। আমাকে ভাবি বলে ডাক দিতো। দিন যত যেতে থাকে সম্পর্কে পরিমাণ অধিক হতে থাকে। পরিবার সহ আমার যত আত্নীয় স্বজন আছে সবাই জানে আমার একটা বান্দরী ঝগড়ুটে – ননদীনি আছে। সে আর কেউ না বর্ষা( আমার সখী)।
আসলে একটা বিষয় সব সময় ওকে ইন্টারফেয়ার করতাম তা হচ্ছে রিলেশন করা যাবে না। যাইহোক সব মিলে ওকে দেখে শুনে রাখতাম, ও যখন এডমিশন পড়তো। তখন আমি পাহাড়া দাঁড় হিসাবে দায়িত্ব ছিলাম। সব মিলে আমাদের সম্পর্ক টা বেস্ট হয়ে উঠছিলো। আসলে ওর অনেক ধৈর্য এইটা আমাকে মানতে হবে ।
আমি যত পারতাম রাগ দেখাতাম আর আমার সখী কে নিয়ে সত্যিই আমি ভীষণ জেলাস ছিলাম। হঠাৎ সব মিলে আমার খারাপ একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেলো। মানুষটা রাত দিন ২৪ ঘন্টা আমার খোজ নিয়েছে আমি ভালো আছি কিনা। আর একটা ইন্টারেস্টিং ব্যপার আমার কোন কারণ বসত যদি একবার মন খারাপ বা একটু অসুস্থ হয়েছি ঠিক ওই মুহুর্তে (বর্ষা, ননদিনী – ঝগড়ুটের) সাথে একটু কথা বলছি সব ভালো হয়ে যায়। আমার খারাপ মুহুর্ত গুলো তুমি পাশে ছিলে বলে আজ আমি আমিতে পরিণত হয়ে উঠতে পেরেছি।
আমার সারাদিনের ঘটে যাওয়া প্রতিটি কথা ধৈর্য সহ কারে সব সময় শুনেছ। আমার কষ্ট গুল আমার সব সময় সাপোর্ট দিয়েছ, সত্যিই তোমাকে নিয়ে কিছু বলার নাই। যাইহোক এমন বন্ধুত্ব হয়তো হাজারে একটা পাওয়া যাবে। আমাদের সম্পর্ক টা সবাই ভাবে এত রাগ করি অনেক দুরত্বে বাট মনের দিক দিয়ে কিন্তু অনেক কাছের।
তোমার নিয়ে আমার ভীষণ স্বপ্ন ছিলো ইউনিভার্সিটিতে পড়বে পড়া শেষ করলে। এখন স্বপ্ন তুমি ভালো একটা গভমেন্ট সার্ভিস হিসাবে কিছু করো জানিনা তুমি পূরণ করতে পারবে কিনা দোয়া রইল সব সময়। দেখো সখী আমি রাগ করি, অভিমান করি, যায় করিনা ক্যানো অইটা অধিক ভালোবাসা জায়গা থেকে হয় গো। আমি চাইনা তোমাকে কষ্ট দিতে বাট কষ্ট টা হয়ে যায়। তুমি যদি একবার মুখ দিয়ে কিছু বলো অই কাজ টা না করা অব্দি আমার ভীষণ কষ্ট হয়।
যখন আমি এক্সিডেন্ট করেছিলাম জ্ঞান হারানোর সময় মনে হচ্ছিল এইবার পৃথিবী থেকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবো তোমাকে যদি একবার শেষ দেখা দেখতে পারতাম? তোমার সাথে তোমার ক্যাম্পাস ঘুরাঘুরি সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুড়েছি আমার জীবনের সব থেকে ভালো দিন থাকতো। তুমি পাশে থাকলে ক্যানো জানিনা ভীষণ ভালো লাগে। আচ্ছা তুমি একবার আমাকে বলেছিলে বন্ধুত্ব মানে বুঝো সত্যিই আমি বুঝিনা বন্ধুত্বের মানে। আমি এতটুকু জানি তুমি আমার সব তুমি আমার লাইফ লাইনের একজন।
তুমি যেইটা তে খুশি থাকো অইখানে ২য় বার যদি কিছু বলতে যায় মন থেকে বলিনা কারণ তুমি যখন ভালো থাকবে আমার কিছু বলার নাই। তোমার সাথে আমার কথা হয় নাই সর্বোচ্চ ২৯ দিন। আমার কাছে এই ২৯ দিন মনে হয়েছিলো ২৯ বছর এর সমান।আপনাদের কারোর জীবনে এমন একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আছে কিনা এমন একজন বন্ধু আছে কিনা ? আমি অনেক লাখী এমন একজন ধৈর্যশীল বন্ধু আমার জীবনে পেয়েছি।
সবাই আমার এই প্রিয় বান্ধবী বা সখীর জন্য দোয়া করবেন। আমাদের সম্পর্ক টা মৃত্যু আগ অব্দি এই ভাবে থেকে যায়।
লেখক: তন্নী খাতুন (অপরাজিতা)