দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যেসব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ নেই, সেখানেও অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। অনেক জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও। তীব্র ঠান্ডায় কঠিন হয়ে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
উত্তরের হিমেল বাতাসে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষই এখন শীতে কাবু।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারী কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না। যে কারণে মাটি ও ভবন রাত-দিন ঠান্ডাই থাকছে। ফলে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কুয়াশার পুরুত্ব বাড়ছে এবং তা সরছে না। গবেষকদের মতে, গাছপালা ও জলাশয় কমে যাওয়াতেও ঠান্ডা বেশি লাগছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, রোদ মিলবে আরও চার-পাঁচ দিন পর। এরই মধ্যে শঙ্কা আছে বৃষ্টিরও। তারপর কেটে যাবে কুয়াশা। কুয়াশা কেটে গেলে শীত কিছুটা কম অনুভূত হতে পারে।
পরিবেশবিদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, প্রকৃতির এমন আচরণ স্বাভাবিক নয়। জলবায়ুর প্রভাব ছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়নকে এরজন্য দায়ী। ভবিষ্যতে গরম ও ঠান্ডার তীব্রতা আরও বাড়বে।