সাধারণত যেসব খাদ্য উৎপাদনে কোনো ধরণের রাসায়নিক সার, অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোন বা কীটনাশক ব্যবহার হয় না তাদের আমরা বলি অর্গানিক ফুড। এ খাবারগুলো হয় সারবিহীন। আর যদি ব্যবহার হয়েও থাকে তা জৈব সার। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে এসব পণ্য উৎপন্ন করা হয়।
অর্গানিক পণ্যে জেনিটিক্যালি মোডিফাইড অর্গানিজম (জিএমও) থাকে না। অর্গানিক পণ্যের তালিকায় যেমন তাজা সবজি বা ফল রয়েছে, তেমনি আছে মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্য। ক্র্যাকার, পানীয়, ফাংশনাল ফুড এবং হিমায়িত খাবারের মতো পণ্যও অর্গানিক হতে পারে। তবে অবশ্যই তা অর্গানিক খাদ্যের সবগুলো শর্ত মানতে হবে। বর্তমানে পুরো বিশ্বেই অর্গানিক খাবারের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্গানিক হওয়ার পূর্বশর্ত :
খাবারের গায়ে অর্গানিক লেখা থাকা মানেই কিন্তু সেগুলো অর্গানিক নয়। বাজারের সব অর্গানিক খাদ্য শতভাগ কেমিক্যালমুক্ত নয়। সাধারণভাবে উৎপন্ন ফল আর সবজির চেয়ে অর্গানিক ফল-সবজিতে মাত্র ৩০ ভাগ কীটনাশক কম পাওয়া যায়। তার মানে কীটনাশক ব্যবহৃত হয় না এ ধারণা ভুল।
একটু কঠিন হলেও অর্গানিক ফুড উৎপন্ন করা সম্ভব। অর্গানিক হওয়ার মানদণ্ডগুলো পূরণ করলে তাকে অর্গানিক ফুড বলতে পারি। বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাকশন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের মতে, জৈব প্রক্রিয়ায় চাষের জন্য প্রধানত পাঁচটি মানদণ্ড মানা জরুরি।