আজ ২৮ শে জানুয়ারি তথ্য সুরক্ষা দিবস। প্রতি বছর এই দিবস উপলক্ষে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে বিশ্বে নানান রকম ক্যাম্পেইন চালানো হয়। দিবসটির থিম ‘গোপনীয়তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তথ্য সুরক্ষা ও আস্থা প্রতিষ্ঠা’। ১৯৮১ সালে ইউরোপের বৃহৎ সংগঠন ‘কাউন্সিল অব ইউরোপে’ কনভেনশন ১০৮ স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে বিশ্বে প্রথম ডাটা প্রাইভেসি ডে বা তথ্য সুরক্ষা দিবস উদযাপন শুরু হয়।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি, অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেকে সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য তার ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, বরং এর জন্য সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।নিজের তথ্যের সুরক্ষা নিজেকেই দিতে হবে। কাকে বিশ্বাস করবেন! চারপাশে ওত পেতে আছে তথ্যচোরের দল। হ্যাকার, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কাউকে দায় দিয়েই আখেরে লাভ কিছু নেই। ইন্টারনেট দুনিয়াটাই অবাধ, উন্মুক্ত। যার-তার, যখন-তখন, যাচ্ছেতাই, যেমন খুশি তেমনের এক দুনিয়া।তথ্য সুরক্ষা দিবস হলো একটি বৃহত্তর প্রচার কার্যক্রমের অংশ যা ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং ব্যক্তিগত তথ্য সহজ উপায়ে সুরক্ষিত করার প্রতি গুরুত্ব দেয়। সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মক্ষেত্রে ভোক্তাদের তথ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করানো।ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা আমাদের যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে ব্যক্তিগত তথ্যফাঁসের ঝুঁকি। প্রযুক্তিনির্ভর দৈনন্দিন জীবনে একান্ত নিজের বলে কিছু আর থাকছে না। নাম, ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, ওজন, উচ্চতা, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, বিশ্বাস—হেন তথ্য নেই যা আমরা ইন্টারনেটে শেয়ার করি না।নিজের বর্তমান অবস্থান, প্রিয় স্থান বা জিনিস, মনের খবর—সবকিছুই অবলীলায় ভাগ করে নিতে পারলেই যেন শান্তি। অথচ এসব ব্যক্তিগত তথ্যের এমন অবাধ উন্মোচন ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ।বর্তমান ডিজিটাল যুগ,তাই মানুষ নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়ে সজাগ হলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মতো চরম নৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।