জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া বিএফএসএ সম্পর্কে সর্বসাধারণকে জানানো এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য।২০১৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ওই বছর সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’। প্রতিপাদ্যটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক সন্দেহ নেই। তবে নিরাপদ খাদ্য দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে নয়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখছি আমরা কেবল সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকি। এটা অনুচিত, কারণ সরকারের একার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জনগণের এগিয়ে আসা অনেক বেশি জরুরি। বস্তুত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার আন্দোলনে সবারই জোরালো ভূমিকা পালন করা উচিত।
সুস্থ্য সবল জাতি চাই, পুষ্ঠিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূণর্তা অজর্ন করেছে। কিন্তু পুষ্টি নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে। পুষ্টিকর খাবারের জোগোনের মাধ্যমে আমরা এটি অজর্ন করতে পারি। এ জন্য খাদ্যশস্য আর প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। তবেই আমরা স্বাস্থ্যবান জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা তুলে দাড়াতে পারব।
সরকার সুষম খাবার, খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে যে জোর দিয়েছে তা বাস্তবায়ন সম্ভব একমাত্র সাধারণ জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে। জাতীয় গণমাধ্যমগুলো সাধারণ জনগণের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ক এই তথ্যসমূহ যথাযথ প্রচারের মাধ্যমে সঠিক যোগাযোগের একটি সেতুবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার।তাই আজ থেকে আমরা নিজ নিজ দায়িত্বে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাই জোরালো ভাবে ভূমিকা পালন করব ইনশাল্লাহ করেন।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।