সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম অ্যাপসে ‘এনআইডি হেল্প ডেস্ক গ্রুপ’, ‘এনআইডি অনলাইন সার্ভিস বিডি লিমিটেড’ নামের বিভিন্ন গ্রুপে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি, জন্মনিবন্ধন সংশোধন ও এনআইডি সার্ভার কপি দেওয়ার পোস্ট দেওয়া হয়। সেসব পোস্ট দেখে গ্রুপের অ্যাডমিনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রোহিঙ্গা নাগরিকরা। যোগাযোগের পর রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে দেন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটররা। যাদের কাছে ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার জন্য সার্ভারের আইডি-পাসওয়ার্ড থাকতো। এই সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটররা রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়েছেন।
এমন অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। তাদেরই একজন মো. আবদুল্লাহ। মায়ের নাম তফুরা বেগম, বাবার নাম আবদুল কাদের। জন্মস্থান কক্সবাজার, আর স্থায়ী ঠিকানায় দিনাজপুরের বিরল পৌরসভ। জন্ম তারিখ দেখানো হয় ১৯৯০ সালের ১ জানুয়ারি। জন্মনিবন্ধন সনদটি ইস্যুর তারিখ ছিল গত ১২ ফেব্রুয়ারি। এই নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে একজন রোহিঙ্গা নাগরিকের ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দেন বিরল পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর মো. আব্দুর রশিদ। কিন্তু এই নামে ওই এলাকায় কোনো বাসিন্দার হদিস মেলেনি। এভাবে কম্পিউটার অপারেটর আব্দুর রশিদ একাই দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিকের ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।