ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া কলকাতার গায়িকা ইমন চক্রবর্তী ট্রোলারদের মুখ বন্ধ করলেন। কলকাতার ‘প্রাক্তন’ ছবিটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন। তার ভাষ্য – এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টাপা টিনি, রঙ্গবতী, ও জীবন তোমার সাথে, আলাদা আলাদা’র মতো একাধিক ট্র্যাক শ্রোতা – দর্শকদের মনকে ছুঁয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে টলিউডে পয়লা সারির গায়িকাদের তালিকায় প্রথমেই নাম ওঠে আসে গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর। একদম সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসেছেন। ছোটবেলা থেকেই তার দু’চোখে গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন বুনে দিয়ে গিয়েছিল মা। আর বাবা দিয়েছিলেন ইমনের সব কঠোর পরিশ্রমে সঙ্গ। ঈশ্বর প্রদত্ত গুণ, অসাধারণ গলা, পরিশ্রম সব কিছুর জেরেই আজ নিজেকে বসিয়েছেন চলিউডের উচ্চস্থানে। তবে শিল্পী হওয়ার সঙ্গে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন, তেমনই এসেছে কটাক্ষও। শুধু এমন নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা কটাক্ষের বাণে বিঁধেছেন ইমনকে। যে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কাজ করেন, সেখানও তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা। এত ছোট বয়সে জাতীয় পুরস্কার জয়ও হতে পারে এর কারণ!
ইমন চক্রবর্তী সম্প্রতি সব কটাক্ষের জবাব দিলেন বেশ চাঁচাছোলা ভাষায়। কলকাতার একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে ইমন বলেন, আমি যে কত লোকের সঙ্গে লিভ ইন করেছি। আমার যে কতজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এবং কত লোক যে আমার সামান্য এগনোর পিছনে রয়েছে। আমিই জানি না আসলে আমি কার কার সঙ্গে থেকেছি। আমার কথা হলো, আমি থাকিও বা ১০টা বিয়ে করিও, আপনার কী, আপনিও করুন না ? আমার সাহস আছে তাই ১০টা বিয়ে করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। আমার যেই লোকটার সঙ্গে ছিল, সে আসলে রাষ্ট্রপতির বন্ধু ছিল।
এরপর খানিকটা খেদ গলায় মিশিয়েই গায়িকা বললেন, আমি বাসে-ট্রেনে ঝুলেও লিলুয়া থেকে কলকাতায় এসেছি। একটা মানুষের স্ট্রাগলটা কেউ দেখছ না। এমন করে এরা যেন আমি অনাথ। আমার মা – বাবা কোনো শাসন করেনি। আমি ১০টা লোকের সঙ্গে থেকেছি। আমার কোনও ট্যালেন্ট নেই, আমি কারও সঙ্গে থেকেছি বলেই কাজ পেয়েছি। আমি ইনস্টাগ্রামে ছবি-ভিডিও দেই বলেই শো পাচ্ছি। এসব বলা মানে তো, আপনারই রুচি খারাপ।
উল্লেখ্য, মাত্র ২৮ বছর বয়সে প্রাক্তন ছবিতে ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ গেয়ে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। টাপা টিনি, রঙ্গবতী, ও জীবন তোমার সাথে, আলাদা আলাদা’র মতো একাধিক হিট গান রয়েছে তার ঝুলিতে। ইমনের গলায় রবীন্দ্রসংগীত শুনে মন্ত্রমুগ্ধ হননি – এমন সংগীতপ্রেমী পাওয়া দুষ্কর। তাই ট্রলাররা যতই নিন্দে সমালোচনা করুক, হাজার – হাজার ভক্তের আশীর্বাদ ভালোবাসাই তার জীবনের এগিয়ে চলার পথের পাথেয়।