বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান পত্নীতলা উপজেলাধীন আমাইড় ইউপির চকভবানী গ্রামে সম্ভব্য ১৯২২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। পিতাঃ কছিম উদ্দিন মন্ডল। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তিনি কর্মজীবন হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। পূর্ব পাকিস্তানিদের শোষণ নিপীড়ন গণহত্যা যখন বেড়ে গিয়েছিল ঠিক তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে সবাই যখন বাড়ি ফিরেন তখনও তিনি নিরুদ্দেশ। তার কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছি ছিল না। হঠাৎ একদিন তিনি ঘোড়ার পিঠে চড়ে বীরের বেশে বন্দুকে ফাঁকা গুলি করতে করতে তার নিজ গ্রাম চকভবানীর বাড়িতে ফিরে আসেন। তার ফিরে আসাতে তার নিজ গ্রাম আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। এ যেন এক নতুন স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়া। সে-ই বীরসৈনিক গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় মর্যদায় চির নিদ্রা শায়িত হলেন তার নিজ গ্রাম চকভবানীতে।
পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান পত্নীতলা উপজেলাধীন আমাইড় ইউপির তার নিজ গ্রামে বসবাস করতেন। নিজ গ্রামে দীর্ঘ দিন যাবৎ অসুস্থ থাকার পর বার্ধক্যজনিত কারণে ৭ ই মার্চ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় মৃত্যু বরন করেন। মৃতকালে এই বীরসৈনিকের বয়স হয়েছিল আনুমানিক ১০২ বছর। মৃতকালে তিনি দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান, জামাতা,নাতি নাতনি, ভাই,বোন,ভাতিজা ভাতিজি, সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
সর্বশেষ, গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩ টায় রাষ্ট্রীয় মর্যদা (গার্ড অফ অনার) শেষে নামাজে জানাজার পর এই বীরসৈনিককে তার নিজ গ্রাম চকভবানীতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার পারিবারিক রাষ্ট্রীয় মর্যদা (গার্ড অফ অনার) অনুষ্ঠানে অংশ নেন পত্নীতলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), পত্নীতলা থানার ওসি তদন্ত সেলিম রেজা, থানা পুলিশের সদস্য বৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ প্রিন্ট ও মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ এবং তার পরিবারের সদস্য বৃন্দ সহ প্রমুখ।