আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির ৯ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য জ্যেতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ও সুদত্ত চাকমা উপস্থিত ছিলেন । মাননীয় আহ্বায়কের বিশেষ আমন্ত্রণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, ভূমি সচিব মো: খলিলুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা সভায় যোগদান করেন।
সভায় বিগত সভার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগ ও দপ্তর সম্পর্কে আলোচনা করে সমস্যা ও এ সম্পর্কে উপায় বের করার জন্য ০৭(সাত) সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে বিরাজমান সমস্যাবলী নিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিবের সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় জনবল সৃজন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের শূন্যপদসমূহে পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী অধিবাসীদের প্রেষণে পদায়ন কাজ ত্বরাণ্বিতকরণ ও কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার অভিযানে যাতে নিরীহ কেউ হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিতকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে ভূমি সচিব সভাকে অবহিত করেন। তিনি ডিজিটাল ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পার্বত্যাঞ্চলে শুরু করার প্রস্তাব করেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ নবনিযুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এবং নবনিযুক্ত টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সুদত্ত চাকমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭সালে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটে।এতে করে এ অঞ্চলে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণকে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে।