ইউসুফ আলী খানঃ আশুলিয়া থানাকে উপজেলায় উন্নতিকরণ, আশুলিয়ায় একটি সরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও আশুলিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসন সহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশুলিয়া থানা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ১৯ আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (এমপি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভূঁইয়া।
শনিবার (১৮ই মে) বিকেল পাঁচটায় আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ (ডেন্ডাবর) এলাকায় গনি জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হলরুমে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা আশুলিয়ার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
এসময় ঢাকা ১৯ আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুমন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনের পূর্বে আপনি জামগড়ার গ্যাসের সমস্যা সমাধান করার জন্য একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আপনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করায় জামগড়া বাসীর পক্ষ থেকে তথা ইয়ারপুর বাসির পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গ্যাস সমস্যার চেয়েও ভয়ংকর সমস্যা জামগড়া জলাবদ্ধতা। জামগড়ার এই জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নয়ন জলি খাল উদ্ধার এবং জামগড়া হিউন গার্মেন্টস হতে ফকির বাড়ি হয়ে বাগাবাড়ি বাজার পর্যন্ত যে সড়কটি রয়েছে সেই সড়কটি যদি পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ আরসিসি ঢালাই করে দেওয়া হয় তাহলে জামগড়ার মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে পারে। নয়ন জলি খাল উদ্ধারের জন্য এমপি কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রধান অতিথি ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরাম যে সকল সমস্যা নিয়ে কাজ করছে সে সকল সমস্যাগুলো অবশ্যই একটি জাতীয় সমস্যা। এর জন্য আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরামের সকল নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। জামগড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যেকোনো মূল্যে নয়ন জলি খাল উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হবে। হিউন গার্মেন্টস হতে বাইপাইল বগাবাড়ী বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ আরসিসি ঢালাই করা একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। এটি ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারা সম্ভব হলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দেওয়া যেত। কিন্তু যেহেতু এটি একটি ব্যয়বহুল তাই এটি আমি সরকারের নিকট উপস্থাপন করবো এবং আগামী এক বছরের মধ্যে করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এ সময় তিনি আরো জানান আমি ইতিমধ্যে আশুলিয়ায একটি সরকারি হাসপাতাল এবং সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে ৫০ শয্যা থেকে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নতি করার জন্য সংসদে উপস্থাপন করেছি।
আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বাকির হোসেন মেদার সঞ্চালনায় উক্ত মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরামের উপদেষ্টা আব্দুর রহিম, ডাক্তার ওহাব আলী, ঢাকা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আব্দুর রহিম, আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরামের সহ-সভাপতি মোবারক হোসেন খান,ডাক্তার এমারত হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম রহমত উল্লাহ সহ আব্দুল গফর দেওয়ান, আরিফুল ইসলাম আরিফ, এডভোকেট শাহীন, শামসুন্নাহার হেনা, ইউসুফ আলি খান,নাসিমা আক্তার সহ আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরামের সকল নেতা কর্মী ও এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন পিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন।