তাসলিমা আক্তার, পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর পাগলার মোড়ে অবস্থিত সেভেন স্টার পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের কর্মীদের হামলার শিকার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত ৫ (পাঁচ) শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন বরিশাল এর শেরই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২১ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পবিপ্রবির এক মেয়ে শিক্ষার্থী সেভেন স্টার পরিবহনে পটুয়াখালী টু খুলনা যাওয়ার টিকিট নেন। বাস সময় মত না আসায় মেয়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা এক ছেলে শিক্ষার্থী বাস দেরি করে আসার কারন জানতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের কর্মীরা খারাপ ব্যাবহার করেন। বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বরিশালগামী শিক্ষার্থীরা পাগলার মোড়ে আসেন ও কাউন্টারে থেকে ঐ শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে আনতে গেলে কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে মারামারি জরিয়ে পরেন। কাউন্টারের কর্মীরা লোহার পাইপ, লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ চালয়। এতে এক শিক্ষার্থীর হাত ভেঙ্গে যায়, এক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
হামলায় আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বরিশাল যাচ্ছিলাম। কাউন্টারের লোকজন আমাদের এক শিক্ষার্থীদে আটকিয়ে রাখছে শুনে আমরা কয়েকজন ঐ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসতে যায়। তখন কাউন্টারের লোকজন আমদের উপর লোহার পাইপ, লাঠি, কাঠের টুকরো দিয়ে আক্রমণ চালায়। এতে আমাদের একজনের হাত ভেঙ্গে যায়, এক জনের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায় আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আমরা আহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভার্সিটির বাসে চলে আসলেও কাউন্টারের লোকজন বাসের মধ্যে উঠে হামলা চালিয়ে একজনের মাথা ফাটিয়েছে। ”
হামলার কথা শিকার করে পাগলার মোড়ের সেভেন স্টার পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের কাউন্টার ম্যান বসির বলেন, “বাস আসতে একটু দেরি করায় খুলনার এক যাত্রীর সঙ্গে থাকা এক ছেলে আমাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করে। তার কিছু সময় পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের কাউন্টারে হামলা চালায় ও আমাদের এক কর্মীকে আহত করে। আহত কর্মীকে দেখে কাউন্টারে থাকা অন্য কর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারিতে জরিয়ে পরে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন,” আহত শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কথা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের সংঘর্ষে লিপ্ত না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে। “