মোঃ মালিক মিয়া, কমলগঞ্জ।। আর মাত্র ১ দিন পরেই কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন। ২৭ মে সোমবার রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ঝরছে এই উপজেলায় কেমন হচ্ছে নির্বাচনের দিনের পরিস্থিতি বুঝা বা অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে জোর প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা ছুটছেন জনগণের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়নের বার্তা নিয়ে। এ উপজেলায় মোট ৭৩টি কেন্দ্রে দুই লক্ষ ১১হাজার ৫ শত সাত চল্লিশ জন পুরুষ ও মহিলা ভোটার আছেন। আগামী ২৯ মে বুধবার তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচন করবেন ৫ বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি কে হবেন। ভোটকে কেন্দ্র করে হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, চায়ের দোকানসহ পাড়া মহল্লায় সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা চলছে। এ বারের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এ উপজেলা নির্বাচন। অফিস সূত্রে জানাগেছে,ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ উপজেলায় ৩ পদে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূলত প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে বিজয়ের লক্ষ্যে সভা সমাবেশ, উঠান বৈঠকসহ জোর প্রচারনা চালিয়ে ছিলেন। তারা হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান (আনারস) এবং উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো.ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল (মোটরসাইকেল) এই দু জনের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারনা। এদিকে চা-শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা রাণী কানুর ঘোড়া প্রতীকেরও আলোচনা রয়েছেন মাঠে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিদ্দেক আলী (তালা), মো. আলমগীর চৌধুরী ( চশমা), হাফেজ মো. আব্দুল ওহাব (বৈদ্যুতিক বাল্ব), নিরঞ্জন দেব ( মাইক) ও সুনীল কুমার মৃধা (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে বিজয়ের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারনায় ব্যস্ত আছেন । আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে। বিলকিস বেগম (পদ্মফুল) ও মুন্না দেব রায় (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে কেউ থেকে কেউ কম নয়। এই দু জনের মধ্যেও হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা সাধারণ ভোটারদের মাঝে। বিশ্লেষকদের অভিমত, চা বাগানের ভোটাররা জয় পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন নির্বাচনে। বিশেষ করে এ উপজেলা চা বাগান অধ্যুষিত হওয়ায় যে প্রার্থী চা জনগোষ্ঠির ভোট বেশী টানতে পারেন তিনিই বিজয়ী হবেন সম্ভাবনা রয়েছে।