ঢাকা শুক্রবার ২ আগষ্ট ২০১৯: অবিলম্বে ফেনীর সাবেক এসপির নির্দেশে স্থানীয় ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত চার্জশীট প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আখলাকুল আম্বিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৫ কোটি টাকার উদ্দেশ্যমূলক মানহানী মামলা প্রত্যাহারসহ শরীয়তপুরের সাংবাদিক বিএম ইস্রাফিলের ওপর সন্ত্রাসি হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চট্টগ্রাম জেলা কমিটির মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে।
সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রণয়নসহ সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। আগামি ৩ মাসের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা না হলে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলারও ঘোষণা দেয়া হয়। এ মামলাগুলোর ব্যাপারে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ও আইন মন্ত্রনালয়ের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, পেশাদার সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারের পুলিশ বিভাগের যাতাকলে পিষ্ঠ হবে এমন আশা একটি গণতান্ত্রিক দেশে কারো কাম্য নয়। ওই সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফেনীতে একটি জিডি পর্যন্ত নেই। সম্প্রতি ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি ও বিভিন্ন দূর্নীতি অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে গায়েবী মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামি বানিয়ে আদালতে দাখিল করেন। ইতিমধ্যে সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আবুল হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জনাব কাওসার হোসাইন, সবুজ আন্দোলন চেয়ারম্যান বাপ্পী সরদার, সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, কেন্দ্রীয় সদস্য এম এ আকরাম, জাফর সেলিম, মাসুম তালুকদার, ফেনী জেলা কমিটির সভাপতি জসিম মাহমুদ, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি কেএম রুবেল, ঢাকা জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর তালুকদার, রুমা আকতার, ডেমরা প্রেসক্লাব সভাপতি সেলিম নিজামি ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
অবিলম্বে সরকারকে পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রণয়নসহ জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়।