হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সংলগ্ম ৩ নং পোল্ডারের ১নং স্লুইজ গেটের ভেঁড়ি বাঁধের রাস্তা ছিদ্র হয়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পাউবো অফিসের পাশে স্লুইজ গেটে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় স্থানীয় সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জুয়ারের পানিতে যে কোন সময় স্লুইজ গেট সংলগ্ম রাস্তার ভেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির আসংখ্যা রয়েছে। গত রবিবার(৪ আগষ্ট) দুপরের দিকে স্লইজ গেটের পাশে ছিদ্র দিয়ে পানি উঠতে শুরু করলে স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকতার্দের অবহিত করলে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উপায়ন্ত না পেয়ে নিজেরাই স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে রাস্তা মেরামতের কাজ করে। এদিকে সোমবার(৫ আগষ্ট) দুপুরে জুয়ারের পানি বাড়লে ঐ স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি ভেতরে ঢুকতে থাকলে স্থানীয় এলাবাসীরা আতঙ্ককিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খাঁন মিরাজ হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মাদ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। এবং সাথে সাথে ভেঁড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে (উত্তর কালিগঞ্জ) দিয়ে কালিগঞ্জ হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ ভেঁড়ি বাঁধের রাস্তা ভাঙ্গন দেখা দেয়। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডর কর্মকতার্দের কোন ধরণের ভূমিকা না থাকায় স্থানীয় এলাবাসিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ভিত্তিতে মেরামত না করলে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের শতশত বিঘা জমির ফসল, মৎস্য ঘের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে এলাকাবাসি। ভাড়াশিমলা, তারালী ও নলতার বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকতে পারে। এজন্যে ত্রিশ গ্রামের মানুষ শঙ্কিত।: এদিকে রাত ৯ টা অবধি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙ্গনকবলিত স্থানে উপস্থিত থেকে বাঁধ সংস্কার পর্যবেক্ষন করেন। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান। অপরদিকে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা সাঈদ মেহেদী এলাকার উন্নয়নে রাজধানীতে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাঁধ মেরামতের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন।