বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ আহতদের দেখতে আজ মাননীয় সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। বাচ্চাদের সুচিকিৎসা সরকারের প্রধান ম্যান্ডেট। এই বাচ্চাদের যদি নিরাপদ জীবন দিতে না পারি তাহলে আমরা অকৃজ্ঞ জাতি হবো। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এআন্দোলনে আহত- নিহতদের হাসপাতালের রেজিস্ট্রার থেকে তথ্য নিয়ে সবার ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আহতের পুনর্বাসনের জন্য যা যা করার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তার নৈতিকতার যায়গা থেকে করবে। আহতদের পুনর্বাসিত করবে মন্ত্রণালয়।
সোমবার সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি এসময় আহতদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোজ খবর নেন। এসময় উপস্থিত চিকিৎসকদের বলেন সুচিকিৎসার জন্য যা যা করতে হবে সব করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। তিনি যত্ন,ভালোবাসা,সুচিকিৎসা ও সেবার মান এবং আন্তরিকায়র জন্য ধন্যবাদ জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। তিনি আরো বলেন আমরা নতুন করে ডাক্তারদের পেলাম নতুন করে চিকিৎসা সেবা দেখলাম। এই ডাক্তার ও সেবাই চায় নতুন বাংলাদেশ। উপদেষ্টা উপস্থিত মিডিয়ার প্রতিনিধিদের কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানান। এর জন্য মন্ত্রণালয় একটি সেল খোলা কথাও জানান উপদেষ্টা।
পিছনের ঘটনা ঘটতে দেয়া যাবে না। জাতির শ্রেষ্ঠ তরুনদের নিয়ে এখনই ভবতে হবে। আমাদের ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ যেমন ভুলা যায় না তেমনি ২০২৪ এর নতুন বাংলাদেশের স্মৃতি বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আমরা নিহতদের ভুলতে দিবনা। যে বাচ্চারা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন তাদেরকে নিরাপদ জীবন দিতে হবে,তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। এই বাচ্চারা সুস্থ্য না হলে,পুনর্বাসিত না হলে আমরা ভালো থাকবো না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যত প্রকল্প রয়েছে, যত পোগ্রাম রয়েছে এখন থেকে এই বীর বাচ্চাদের ফোকাস করে নেয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: সফিকুর রহমান,ঢাকা মেডিকেলের উপ-পরিচালক ডা: মো: খালেকুজ্জামান,সহকারী পরিচালক ডা: আশ্রাফুল আলম,ডা: আব্দুর রহমান ও ডা: আ: সামাদ প্রমুখ।