মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট।। চলতি মৌসুমে লালমনিরহাটের আমন চাষিদের ব্যয় বেড়েছে। অনাবৃষ্টি আর ভাদ্রের তীব্র খরার সাথে তাপদাহে চাষিদের মাথা হাত পড়েছে। তবে জেলার ৫টি উপজেলায় ৮৬ হাজার ৬শ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষবাদ হচ্ছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলা সদর সহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা জুড়ে প্রায় দেড় মাস ধরে দেখা মেলেনি বৃষ্টি। মাঝে মাঝে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও ভেজাতে পারেনি তাপদাহ মাটি বুক। তাই চলতি মৌসুমে তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টি কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডিজেল চালিত ইঞ্জিন দিয়ে সেচ দিতে দেখা গেছে চাষিদের । তীব্র খরা আর তাবদাহে প্রভাব ফেলতে পারে রোপা আমন ধান ও আগাম শীতকালীন সবজীসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনে।
সদর উপজেলার পৌর এলাকার কৃষক জুয়েল রানা জানান,এবছর বৃষ্টি কম থাকার কারণে ডিজেল চালিত ইইঞ্জিন দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে এতে আমাদের ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে। এই মৌসুমে রোপা আমন ধানটি কৃষকের লাভজনক একটি মৌসুম। তবে ধানে বাজার মূল্য ভাল না থাকলে আমদের লোকসানে পড়তে হবে।
সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মফিজ মিয়া বলেন আমরা যেসব কারনে ক্ষতির মুখে পড়েছি কৃষকেরা। এবছর বীব্র খরা আর বৃষ্টি না থাকায় আমাদের অতিরিক্ত সেচ ও সার বাবদ বাড়তি খরচ হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ফসলে পোকার আক্রমণ। ঘন ঘন কীটনাশক স্প্রে দিয়েও দমন হচ্ছে না পোকা। এসব কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার কৃষকেরা।
সদর উপজেলার কোলাঘাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াড পশ্চিম হাতুড়া, কৃষক সামাদ মন্ডল বলেন, বৃষ্টি হলে ধানক্ষেতে সার ওষুধ কম লাগছে। এবছর অতিরিক্ত রোদ আর গরমে ধানক্ষেতের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, ফলে বাড়তি সেচ দিতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি অফিসার আলীনুর রহমান জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় ৮৬ হাজার ৬ শত ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে এবছর।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু এবছর তীব্র খরা ও তাবদাহ বেশি হওয়ায়র কারণে জমিতে বাড়তি সেচ দিতে হচ্ছে এতে কিছুটা খরচ বাড়বে। আমন মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ায় এই মৌসুমি ছিলো কৃষকের লাভ জনক একটি মৌসুম। তবে তীব্র খরায় ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবেনা বলে জানিয়েছেন।