মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট।।
প্রতি বছর শরতের সময় বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের কোটি কোটি সনাতন ধর্মাবলম্বী তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই উৎসব পালিত হলেও বাঙালীদের কাছে এটি দুর্গা পূজা নামে পরিচিত।
সেই সাথে লালমনিরহাট জেলায় ঘরে ঘরে শারদীয় উৎসবের ধুম লেগেছে।আসছে আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য সমাপ্ত ঘটবে।
লালমনিরহাট জেলায় এবারে মোট ৪শত ৭৩টি পূজা মন্ডবে দূর্গোৎসব চলবে। তন্মধ্যে লালমনিরহাট পৌরসভা এলাকায় মোট ২৫টি, বড়বাড়ী ইউনিয়নে ৯টি,হারাটি ইউনিয়নে ১৫টি,মোগলহাট ইউনিয়নে ২১টি, কুলাঘাট ইউনিয়নে ১২টি, গোকুন্ডা ইউনিয়নে ২০টি, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে ২১টি, রাজপুর ইউনিয়নে ৮টি, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে ১৪টি, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে ১৫টিসহ লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মোট ১শত ৬০টি।
ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৪টি,দূর্গাপূর ইউনিয়নে ১০টি, কমলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৬টি, সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নে ৫টি, ভাদাই ইউনিয়নে ৩১টি, পলাশী ইউনিয়নে ১১টি,সারপুকুর ইউনিয়নে ২৪টি, মহিষখোচা ইউনিয়নে ৫টিসহ আদিতমারী উপজেলায় মোট ১শত ১৬টি।
ভোটমারী ইউনিয়নে ৫টি, দলগ্রাম ইউনিয়নে ৯টি,মদাতী ইউনিয়নে ১৫টি, তুষভান্ডার ইউনিয়নে ১২টি, কাকিনা ইউনিয়নে ৭টি, গোড়ল ইউনিয়নে ১৬টি,চলবলা ইউনিয়নে ১৭টি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১৩টিসহ মোট কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯৪টি।
বড়খাতা ইউনিয়নে ২টি, গড্ডিমারী ইউনিয়নে ১টি, সিংগিমারী ইউনিয়নে ২টি, ফকিরপাড়া ইউনিয়নে ৪টি,টংভাঙ্গা ইউনিয়নে ১৭টি, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে ৪টি, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৩টি, সিন্দুর্না ইউনিয়নে ৪টি,নওদাবাস ইউনিয়নে ১২টি, গোতামারী ইউনিয়নে ১০টি, ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে ১৩টিসহ মোট হাতীবান্ধা উপজেলায় ৭৩টি।
পাটগ্রাম পৌরসভায় ৪টি, শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ২টি, বুড়িমারী ইউনিয়নে ১টি,পাটগ্রাম ইউনিয়নে ২টি,বাউড়া ইউনিয়নে ৮টি, জগতবেড় ইউনিয়নে ৬টি, জোংড়া ইউনিয়নে ৬টি, দহগ্রাম ইউনিয়নে ১টিসহ পাটগ্রাম উপজেলায় মোট ৩০টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে।
আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দূর্গা পূজা শুরু হবে। আগামী শনিবার (১২ অক্টোবর) দশমী ও বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় পূজা সমাপ্ত হবে।
উল্লেখ্য যে, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের আয়োজনে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম।
উক্ত সভায় পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলার শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের নিকট হতে তাদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা শুনেন এবং সে মোতাবেক সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এছাড়াও শারদীয় দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সমসাময়িক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। দুর্গোৎসব চলাকালীন সময়ে কোন তৃতীয় পক্ষ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে এবং পূজামন্ডপ গুলোকে ১০০ ভাগ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্দির কমিটিকে অনুরোধ করেন। দুর্গোৎসব চলাকালীন কোন বিশৃঙ্খলা বা আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটলে যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট থানা ও পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন।
উক্ত সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লালমনিরহাট জেলার শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।