ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আদায়যোগ্য ভূমি উন্নয়ন কর সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে পারলে দেশের অর্থনীতি বিকাশিত হবে। এজন্য তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ জনবল ও অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সঠিক ও নির্ভুল কর আহরণ করতে হবে। তিনি আজ ভূমি ভবনের সেমিনার হলে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইবরাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহ. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড়শ’জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সম্প্রতি ভূমি উন্নয়ন কর আইনানুযায়ী প্রতি বছর ০১ জুলাই হতে ৩০ জুন উন্নয়ন কর আদায় সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে জাতীয় অর্থবছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। কর্মশালায় আরো জানানো হয়, কোন সংস্থার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সংস্থার ভূমি রেকর্ড হালনাগাদ না থাকা। অনেক ক্ষেত্রে সংস্থার নামে অধিগ্রহণকৃত ভূমি দীর্ঘদিন ধরে সংস্থা ব্যবহার করলেও তাদের নামে রেকর্ড বা নামজারি থাকেনা। ফলে সঠিক দাবি নির্ধারণ ও আদায় হোল্ডিং না থাকা। সংস্থার নামে অনলাইন হোল্ডিং না থাকাসহ সংস্থা এবং ভূমি অফিস উভয়ের তত্ত্বাবধানের অভাব রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সংস্থাগুলোর সাথে ভূমি অফিসের যোগাযোগের অভাব রয়েছে। ফলে সংস্থা তাদের করের বিষয়ে জানতে পারেনা। এছাড়া সংস্থাগুলোতে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকা। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ভূমি রেকর্ড নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে, সিস্টেমে সংস্থার হোল্ডিং শতভাগ এন্ট্রি সম্পন্ন করণ ও অনলাইন নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক সময়ে সংস্থাকে উন্নয়নের করের দাবি অবহিত করণের পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ হলে তা দ্রুত নামজারি সম্পন্ন করতে হবে।
ভূমি সিনিয়র সচিব বলেন, বিভিন্ন সংস্থার ভূমি উন্নয়ন কর একটি যৌথ কর্ম প্রয়াস, যেখানে ভূমি অফিস ভূমির তথ্য, কর নির্ধারণ এবং আদায় প্রক্রিয়া পরিচালন করবে। এছাড়া সংস্থাগুলোকে ভূমি উন্নয়ন ও সঠিকভাবে কর পরিশোধের ভূমিকা পালন করতে হবে। এতে করে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা দেশের অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।