কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)। আমাদের জাতীয় জাগরণের কবি। আমাদের সাহস জুগানোর কবি। আমাদের আত্মা কে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রবেশের যে টানেল ( স্বাধীনতা) প্রয়োজন, সেই টানেলের আলো জ্বালানোর কবি।
কাজী নজরুল ইসলাম প্রসঙ্গে ড. বাসন্তীকুমার মুখোপাধ্যায় ” আধুনিক বাংলা কবিতার রূপরেখা ” গ্রন্থে “আধুনিক কবিতার প্রস্তুতি -পর্ব ” প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘সাধারণত কল্লোল- কালিকলম- উত্তরা-প্রগতির যুগটিকেই আধুনিক কবিতার জন্মলগ্ন বলে ধরা হয়, যদিও আমরা জানি ইতিহাসেরও ইতিহাস আছে। কল্লোল-কালিকলম-উত্তরার আগে আছে মোহিতলাল-যতীন্দ্রনাথ- নজরুলের যুগ। “পৃষ্ঠা -৬৭।
আজকের এই বিয়োগাত্মক দিনে ড. বাসন্তীকুমার মুখোপাধ্যায় এর গ্রন্থের কোড করলাম এজন্য একজন কবি শুধু জাতীয় জাগরণের জন্য কাজ করেননি। তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে একটা সময়কে ধারণ ও শাসন করেছেন। তাঁর সেই লেখা কাল পেরিয়ে মহাকালের দরবারে আলোচিত ও উজ্জীবিত। আমাদের বারেবারে ফিরে ফিরে নজরুল কে পড়তে হয়।নজরুলের সাহিত্যের আকাশে উড়তে হয়। তাঁর সৃষ্টি সম্ভার অমরত্ব লাভ করেছে। আমাদের জানার তৃষ্ণায় আমরা আকন্ঠ পান করি নজরুল সাহিত্য।
মাঝে মাঝে ভাবি, বাংলা সাহিত্যের সর্বত্র যখন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দোর্দন্ড প্রতাপে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কিভাবে সাহিত্যের আলাদা পথ নির্মাণে সচেষ্ট হলেন??
গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে স্মরণ করি।
তৌফিক জহুর
লেখক, কবি ও সাংবাদিক