ভূমি সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, বিগত দিনে যারা অবৈধভাবে বালুমহল ও লিজের নামে সরকারি ভূমি দখল করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। বর্তমানে যদি কেউ এধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে বার্তা দেয়া হয়েছে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে । দেশের সরকারি সম্পত্তি ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধ পরিকর।
ভূমি সচিব আজ ভূমি ভবন মিলনায়তনে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ভূমি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার বিষয়ে এক স্টেকহোল্ডার সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. জে. এম. সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইবরাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ, মো: এমদাদুল হক চৌধুরী ও যুগ্মসচিব ড. মো: জাহিদ হোসেন পনির বক্তব্য রাখেন।
সভায় ছাত্র প্রতিনিধিগণ ভূমি খাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে ভূমি নামজারি, হোল্ডিং নম্বর ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায় নিয়ে অনিয়ম দূরকরণ, জোরপূর্বক দখলকৃত সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত ও ভূমি সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা দ্রূত নিষ্পন্নকরণসহ বেশ কিছু সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
ভূমি সিনিয়র সচিব বলেন, ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশর অভ্যুদয় জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।এ আন্দোলনের সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভূমিসেবা কার্যক্রমকে হয়রানি ও ঝামেলামুক্ত নিরাপদ নাগরিকসেবা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে জনগণের অনেক অভিযোগ-অনুযোগ রয়েছে।তবে মনে রাখতে হবে ভূমি সেবা কার্যক্রম একটি জটিল বিষয়, এতে অনেকপক্ষ জড়িত থাকে। এজন্য দৈনন্দিন কাজের কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে থাকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ভূমি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরো সৎ, দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও ন্যায়নিষ্ঠ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে, ভূমি সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন, যুগোপযোগী ও হালনাগাদকরণ, ভূমির অধিকার ও স্বত্ব সংরক্ষণ, ভূমি জরিপের মাধ্যমে এবং ভূমির নক্সা ও রেকর্ড প্রণয়ন, প্রকাশ এবং সংরক্ষণ, খাস জমি, অর্পিত, পরিত্যক্ত ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ ও আদায় করা হয়ে থাকে। এছাড়া অটোমেটেড ভূমিসেবার মাধ্যমে (land.gov.bd) অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, নামজারি, ডাকযোগে পর্চা ও ম্যাপ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।