সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, গরীব ও দুস্থ কিডনি রোগীদের সেবা করার অনেকগুলি আলোকিত উদ্যোগী প্রাণ আজ মানুষের সেবা করার মন-মানসিকতা নিয়ে কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটে মিলিত হয়েছে। তিনি বলেন, এমন আলোকিত উদ্যোগীদের সম্মিলিত ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে সৃষ্টি এ প্রতিষ্ঠান দরিদ্র মানুষের সেবায় রোলমডেল হয়ে উঠবে। দেশের মানুষকে এ ভালো উদ্যোগের উদাহরণগুলোকে রীতিতে পরিণত করতে হবে। তাহলে সহজেই একটি নতুন বাংলাদেশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।
তিনি আজ সিলেট নগরের তেমুখী বাদাঘাট সংলগ্ন নাজিরের গাঁওয়ে নির্মিত কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ভিডিও বার্তায় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সাফল্য কামনা করেন। যাঁদের ক্লান্ত পরিশ্রমে ১০তলা ভবনের কিডনি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করল তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন- উর রশিদ, মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান-বীর উত্তম, ডা. জিয়া উদ্দিন, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক কর্নেল এম এ সালাম (অব.) প্রমুখ।
দায়িত্বের জায়গা থেকে এ অসাধারণ কাজের সাথে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হওয়া একটা বড় পাওয়া উল্লেখ করে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে ভালো কাজের সাথে সংযুক্ত হতে চাইলেও সহজে হওয়া যায় না। অনেক বাধা-বিপত্তি ও প্রশাসনিক ঘাটতি পেরিয়ে মানুষের সেবায় কিডনি ফাউন্ডেশনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া একটা ভালো দিক।
এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই মন্তব্য করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে আমি বলব কযেকজন অসাধারণ মানুষ তীব্র ইচ্ছার জায়গা থেকে তাদের যার যতোটুকু আছে সেটুকুকে শক্তি করে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন এর বাস্তব চিত্রটা তৈরি করতে পেরেছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত ছিয়াত্তর হাজার প্রতিষ্ঠানকে সুব্যবস্থাপনায় আনা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানকে সুগঠিত করতে হলে কয়েকজন সুগঠিত মানুষ লাগে। সেলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য কিডনী হাসপাতাল সিলেটের সদর উপজেলায় ১০তলা ভিতের ওপর ৬তলা কিডনী হাসপাতাল নির্মাণ কাজ জুন ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে। মানুষের মধ্যে কিডনি রোগ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি হ্রাস করা, স্বল্প মূল্যে কিডনি রোগের চিকিৎসা প্রদান, ডাক্তার, নার্স এবং প্যারামেডিকসদের প্রশিক্ষণ প্রদান, ৩০% দরিদ্র অবহেলিত, গরীব ও দুস্থ কিডনি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান এবং ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের মাধ্যমে কিডনি রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য।