ডা. মো. শহিদুল আলম বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি শুধুমাত্র একজন বরেণ্য চিকিৎসক নন, বরং একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবেও সমধিক পরিচিত। সাতক্ষীরার নলতা হাই স্কুলের ১৯৭৪ সালের প্রাক্তন ছাত্র। পরবর্তীতে তিনি মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন এবং বর্তমানে এনাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
# **চিকিৎসা জীবনে অসামান্য অবদান**
ডা. শহিদুল আলম “গরিবের ডাক্তার” নামে পরিচিত। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় তার আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ তাকে এই উপাধি এনে দিয়েছে। তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হাজার হাজার রোগীর জীবন আলোকিত করেছেন। বিনামূল্যে বা কম খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তিনি জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
# **রাজনৈতিক জীবন**
ডা. শহিদুল আলম একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবেও কাজ করছেন। জনগণের অধিকার আদায়ে তার আপসহীন মনোভাব এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দক্ষিণবঙ্গের মানুষের মনে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছে।
# **সমাজসেবামূলক কার্যক্রম**
তার সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড শুধু চিকিৎসা সেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনেও অবদান রেখেছেন। দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসারে তার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
# **বিদ্যালয়ে ফিরে আসা**
আগামী ১৭ জানুয়ারি নলতা হাই স্কুলের পিকনিকে তার সম্মিলিত উপস্থিতি স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের জন্য বিশেষ প্রেরণা হয়ে উঠবে। ছাত্রদের প্রতি তার ভালোবাসা এবং শিক্ষা ও মানবতার প্রতি তার অঙ্গীকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ।
ডা. মো. শহিদুল আলম একজন জীবন্ত অনুপ্রেরণা—একজন মানুষ, যিনি তার কর্ম, আদর্শ এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে আলোকিত করছেন। তার এই মহৎ জীবন ও কর্ম সবার জন্যই অনুসরণীয়।
লেখকঃ এস.এম শরিফুজ্জামান (শরীফ)
নলতা হাই স্কুল, ব্যাচ- ৯১