প্রতিনিধি নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নানাহ্ কলা কৌশলে সম্পতি লিখে নিয়ে ভাবিকে হত্যার চেষ্ঠাকালে রক্ষিতাসহ দেবরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসি। গুরুতর মুমর্ষাবস্থায় ওই বৃদ্ধ ভাবিকে এলাকাবাসি ও পুলিশ উদ্ধার করে নবীনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বৃদ্ধ আহত ওই ভাবির নাম মরিয়ম বেগম(৭০)স্বামী মরুহুম খোরশেদ মেম্বার(খুশু মেম্বার)। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বৃদ্ধার ভাই মোঃ আবদুল মতিন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (০৩/০৯) নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার(০২/০৯)রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। গ্রেফতার কৃত ওই দুই আসামী হচ্ছে গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে কানু মিয়া উরফে কানন (৫৭) ও তাজলিমা আক্তার (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, দেবর কানন তার আপন বিধবা ভাবী মরিয়ম বেগমের সহায় সম্পত্তিসহ ভাইয়ের সম্পত্তিও জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে দখল করে নেয়। ওই বিধবা মরিময়ম বেগম ছিলেন নিঃসন্তান। স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসন্তান ওই এ বৃদ্ধ মহিলার চিকিৎসার নামে ও নানাহ্ কলা কৌশলে সর্বশেষ সম্বল চার কানি সম্পত্তি নিজ নামে লিখে নিয়ে তার উপর নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে যাচ্ছে দির্ঘদীন যাবত। খাবার নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ঘটনারদিন রাতে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দুইজন মিলে মরিময়ম বেগমকে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ সময় বৃদ্ধা মরিয়মের আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী টের পেয়ে কানন ও তার কাজের মেয়ে তাছলিমা (রতিা)কে আটক করে। এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ করেন গ্রেফতার তাছলিমাকে ফুসলিয়ে স্বামী ছাড়া করে তার রতিা হিসেবে(কাজের মেয়ে বানিয়ে) ব্যবহার করে আসছে শুধু তাই নয় গ্রামে তার বিরুদ্ধে বহু নারী কেলেঙ্কারির ঘটনাও রয়েছে। কানন প্রভাশালী হওয়া গ্রামের মানুষ তাকে কিছু বলতে পারেনা।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিত রায় জানান,সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। মামলা হয়েছে- তাদেরকে জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।