জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানের পরেও থামছেনা মা ইলিশ নিধন। প্রশাসনের শত প্রচেষ্টায় থামাতে পারছেনা ইলিশ নিধনের মহাযজ্ঞ। এভাবে মা ইলিশ নিধন হলে এক সময় ইলিশ শুন্য হয়ে পড়বে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে কারাদন্ড, দেড় লাখ মিটার জাল, ৬৬টি মোবাইল কোর্ট, ৫৯টি অভিযান, ৩৭০ কেজি মাছ জব্দ করে ১৮টি মামলা হয়। বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা মৎস কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝার নেতৃতে¦ সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে নদীতে জাল রেখে পালিয়ে যায় জেলেরা।
জব্দকৃত ইলিশ মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া জেলার অন্যান্য স্থান থেকে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। জেলেদের স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান অনুদান দিলেও যেন তারা থামছেনা। ঝালকাঠি রোটারী ক্লাবের সভাপতি শামিম আহমেদ জেলেদের ডেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চাল-টাকা প্রদান করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী সাংবাদিকদের জানান, চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত দেড় লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও প্রায় ১০ মণ ইলিশ মাছ উদ্ধার এবং বেশ কিছু মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট প্রস্তাব দেন যে, ইলিশ প্রজণন মৌসুমে এভাবে নৌকা বাইচ করে লাভ হবেনা। জেলার সকল জেলের নৌকা এবং জাল জমা নিয়ে তাদেরকে অনুদান প্রদান করুন। এভাবে শুধু ঝালকাঠিতেই নয় সারাদেশে এই প্রক্রিয়া ফলো করতে পারেন। তাহলেই কেবল ইলিশ নিধণরোধ হতে পারে। একদিকে অভিযানের নামে সরকারী অর্থ অপচয়রোধ হবে অন্যদিকে ইলিশ রক্ষা পাবে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর।