নিউজ ডেস্কঃ- কুমিল্লার হোমনার শোভারামপুরে পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হামলা মামলা হুমকি ধামকি দিয়ে এক বিধবার সম্পত্তি জোর করে দখল করতে মরিয়া একটি প্রভাবশালী মহল।
ভুক্তভোগী বিধবা জলিয়া বেগম জানান, হোমনা উপজেলার শোভারামপুরে পৈত্রিকসূত্রে দীর্ঘ ৪০ বছর নিজ ভুমিতে ভোগ দখল করে মৃত্যর আগে তার স্বামী মোবাশ্বের আলী বিগত ১৯৯৬ সালের ১৮ জুলাই তাকে ১১ শতক ভূমি যার দাগ নং ৩৫৫৮/৯৬ দলিল মূলে রেজিষ্টি করে দেন। জুলিয়া বেগম উক্ত ভূমিতে টিন শেড বিল্ডিং করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিয়ে ওই টাকায় দিন জীবন যাপন করছেন। পরবত্তীর্তে জমি খরিজ করতে গিয়ে সিএস ৭৮৭ আরএস ১৩৪০ ও বিএস ১৪০৭ নং খতিয়ান ভূক্ত সাবেক ৫ হালে ১৫ দাগের ভূমি ১৫ দাগের পরিবর্তে ভূলক্রমে ১৬ হওয়ায় তা সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্র্যাইবুনাল আদালতে আপিল করেন, যা চলমান আছে। দাগ নং ১৫ এর স্থলে ১৬ হওয়ায় পিছনের ভূমির মালিক
নুর মোহাম্মদ গং তাদের বলে
দাবী করে জোর করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী ও হোমনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত ভূমি দখলের চেষ্ঠা করছে।
উল্লেখ এই ভূমি দস্যু- নুর মোহাম্মদ উক্ত এলাকার চেয়ারম্যান আবুল বাসার এর নাতি পরিচয় দিয়ে থাকে, জলিয়া বেগমের মার্কেটের সামনে ইট এনে স্তুপ করে ব্যবসায়ীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ভাড়াটিয়া দোকানে তালা ঝুলিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্থ করে। বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও জোর করে নুর মোহাম্মদ ভূমি দখল করতে গেলে জুলিয়া বেগম কুমিল্লার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে ৩ টি মামলা ১১৪/১৭, ১৩০/১৯ ও ৩৭৪/১৯ দায়ের করেন। যা চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগি জুলিয়া বেগমের ছেলে আরিফুর রহমান জানান, তাদের সকল মামলায় আদালতে চলমান রয়েছে। আদালতের মাধ্যমেই ঠিক হবে প্রকৃত ভূমির মালিক।
অথচ হোমনা থানার ওসি বাদী পক্ষের কথামতে আমাদের ব্যবসায়ীদের থানায় ডেকে এনে দোকান ছাড়তে বলে আর না ছাড়লে মামলার হুমকি দেওয়া দুঃখজনক। এ ব্যাপারে হোমনা থানার ওসি সৈয়দ মোঃ ফজলে রাব্বি বলেন, জমি সংক্রান্ত এ বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে সামাজিক লোকেরা দোকান ছাড়ার এ নির্দেশ দেন, আমি কোন নির্দেশ দেয়নি।