আত্রাই উপজেলা হাসপাতালের গোডাউন থেকে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই অকেজো আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতিসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল গোপনে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পরা অফিসার (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ মোর্শেদ মনিরুদজ্জামানের বিরুদ্ধে।
অনসন্ধানে জানা যায়, গতকাল (১০-১১-১৯)ইং রোজ রোববার সরকারী ছুটির দিন সকাল ৮টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাখা মালামাল গোডাউন থেকে বিনা টেন্ডারে কোন কাগজ পত্র ছাড়া মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর গ্রামের জগন্নাথের একটি পিক-আপ ভ্যান ও একটি কাকরা ট্রলিতে মালামাল উঠানোর সময় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ টের পায়।
এবং সাথে সাথে জয়যাত্রা টেলিভিশনের আশুলিয়া প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল “নতুন দিগন্ত” ও বাংলাদেশ সবুজপত্রের বিশেষ প্রতিনিধি শিফাত মাহমুদ ফাহিমের নিকট মুঠোফোনে জানাই।বিষয়টি যাচাই-বাচাই করে উল্লেখিত পত্রিকা গুলোতে সংবাদ প্রচার করা সাথে সাথে এলাকাবাসীর নজরে আসে।
এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গ এসে ঠিকাদার জগন্নাথ বাবুর কাছে সরকারী মালামাল ক্রয়ের টেন্ডারকৃত কাগজ পত্র দেখতে চান।
ঠিকাদার কোন কাজগ পত্র দেখাতে না পারায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছানাউল ইসলাম কে জানায় অবহিত করেন উপস্থিত জনতা।এবং সেই সাথে থানা থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঠিকাদারকে নিলামের কাগজ পত্র দেখাতে বলেন। ঠিকাদার জগন্নাথ বাবু নিলামের কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় ঐ ২টি মালামাল বোঝায় পরিবহন আটক করেন থানা পুলিশ।
সেই সাথে ঠিকাদার কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যান।এলাকার সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গরা বলেন, উপজেলাস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পরা অফিসার (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ মোর্শেদ মনিরুদজ্জামান নওগাঁ সিভিল সার্জন মমিনুল হকের নাম ভাঙ্গিয়ে ( টিএইচএ) বিনা টেন্ডারে তার নিজের পছন্দ মতো ঠিকাদার কে গোপনে অকেজো আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল গোপনে বিক্রি করছিলেন।
তার উদ্দেশ্য ছিলো টাকা গুলো সরকারী কষাগারে জমা না দিয়ে আত্নসাৎ করার।উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার বিষয়টি স্বীকার করে নওগাঁ সিভিল সার্জন মমিনুল হকের নাম জড়িয়ে জানিয়েছেন উনি এ নিকৃষ্টতম কাজের সাথে জড়িত।
সিভিলসার্জনের সাথে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে উনি বলেন,সরকারী নীতি মালা অনুসারে কোন প্রকার টেন্ডারটি হয় নাই।এবং টেন্ডারের ডাকেটর টাকা ভ্যাট সহ সরকারী কোষাগারে জমা হয় নাই। শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ মোর্শেদ মনিরুদজ্জামান বলেন, নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিসে টেন্ডার হয়েছে বলে নওগাঁ সিভিল সার্জন আমাকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানান, টেন্ডারের কাগজ পত্র পরে পাঠানো হবে।
তাই আমি মৌখিক নির্দেশ মতে ঠিকাদার কে লিষ্ট অনুসারে মালামাল দিয়েছি।টেন্ডার বিষয়ে এতো টুকু আমার জানা।বাঁকি বিষয় গুলো সিভিলসার্জন সাহেব জানেন।
এ বিষয়ে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোসলেম উদ্দিন জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে জানান, ঘটনার স্থলে আমি দ্রুত পুলিশ পাঠায়।সেই সাথে মালামাল সহ ২টি যানবাহন ও ঠিকাদার জগন্নাথ বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।