হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ও নলতা ইউনিয়নের খানজিয়া সাতবসু ইসামতি নদীর ভেড়ীবাধেঁ ব্যাপক ভাংঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে যে কোন মুহুর্ত্বে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে সোমবার বেলা ১২টায় ভেড়ী বাধের ভাংঙ্গন কবলিত এলাকা জনস্বার্থে পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল, পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা-১ এর নিবার্হী প্রকৌশলী আবুল খায়ের, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান, কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও ওবায়দুল হক মল্লিক, ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মাদ বিশ্বাস। প্রথম পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গত ২ দিনে শ্রমিক দিয়ে বালির বস্তা ও মাটি ফেলে ভাংঙ্গন রোধ করার চেষ্ঠা করছে। এব্যাপরে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, খাঁনজিয়া সাতবসু এলাকায় ইসামতি নদীর ভেঁড়ি বাঁধ ভাংঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা জরুরী ভিত্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাদের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা ব্যায়ে রিং বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও ওবায়দুল হক মল্লিক জানান, সাতবসু এলাকায় ভেঁড়ীবাঁধে ৫০ থেকে ৬০ ফিট ভাংঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে বস্তায় বালি ভরে ভাংঙ্গন কবলিত স্থানে ফেলেছি। কিন্ত সেখানে বস্তা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে রিং বাঁধ নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করা হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধোতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এবিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন সকলের সহায়তায় দ্রুত সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি ইছামতির ভাঙ্গনকবলিত ভেঁড়িবাঁধ, অবহেলার কোন সুযোগ নেই, সকলেই মিলে ভেঁড়ীবাঁধ ভাংঙ্গন রক্ষা না করা গেলে এলাকার শত শত মৎস্য ঘের, ক্ষেতের ফসল, পুকুর, বাড়ি ঘর, গাছ পালার ব্যাপক ক্ষক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। তা নাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ভূক্তভোগী এলাকাবাসি ভাংঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরী ভাবে বাঁধটি দ্রুত নিমার্নের দাবী জানিয়েছে।