মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার যশলং ইউনিয়নের বাঘিয়া বাজার স্টীলের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। এতে যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙ্গে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়,বাঘিয়া বাজার স্টীলের সরু সেতুটির প্লেট গুলোতে মরিচা পরে বড় বড় ফাঁকার সৃষ্টি হয়েছে।জোড়াতালি দেওয়া ওয়েল্ডিং এর জয়েন্ট গুলো খুলে গেছে।পণ্যবাহী ভারি যানবাহন চলাচল করলে সেতুটি থরথর করে কাঁপতে থাকে।
এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন পুরা ডি,সি উচ্চ বিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থীরা চলাচল করে থাকে।এছাড়া সেতুটির খুব নিকটেই রয়েছে মদিনা কোল্ড স্টোরসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়শই কোনো না কোনো ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়,একসময় সোনাহাটা খালের উপরে একটি কাঠের পুল ছিলো,সে পুল দিয়ে লোকজন বাঘিয়া বাজার যাতায়াত করতেন।
পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে তৎকালীন সরকারের অামলে এই সরু স্টীলের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের আয়ুস্কাল ধরা হয়েছিলো ২০ বছর। সে ক্ষেত্রে সেতুটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক বছর আগেই।
ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলছে।
এবিষয়ে বাঘিয়া বাজার মদিনা কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান,হিমাগারে আলু সংরক্ষণে কৃষকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মদিনা কোল্ড স্টোর কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর নিজ উদ্যোগে সেতুটি মেরামতের কাজ করে থাকে।
বাঘিয়া বাজার দোকানী মোঃ দেলু মৃধা বলেন, সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এতে বাঘিয়া বাজার ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থের স্বীকার হবেন।
এব্যপারে যশলং ইউপি চেয়ারম্যান অালমাস চোকদার বলেন,বাঘিয়া বাজার সেতুটির মেয়াদ ৩৩ বছর পূর্বে শেষ হয়ে গেছে।বর্তমানে এটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।সেতুটি দিয়ে এক সাথে দুটি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করলে তা ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।সেতুটি ভেঙ্গে গেলে এ এলাকার শিক্ষা,চিকিৎসা,ব্যবসা এবং যোগাযোগে বেঘাত ঘটবে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবো,যেনো খুব দ্রুত সেতুটি মেরামত করা হয়।
এবিষয়ে টঙ্গিবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু জানান,ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সরিয়ে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতিপূর্বে এখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য এলজিআরডি’তে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।আশারাখি খুব শীঘ্রই নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে।