মোঃ শাহীন মিয়া : নিজ দলের নেতা কর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পর আওয়ামীলীগ এমপির কাছে বিচার চাইলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্জু এ ঘটনায় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্রপতিক্রিয়া।
গত কাল তিনি নবীনগরে স্হানীয় সাংসদ ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল এর নিকট এই অভিযোগ করেন।
উল্যেক্ষ থাকে যে তার পুর্বে নবীনগর পৌরসভার বিদায়ী মেয়র ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন মাঈনুকে ‘প্রধান আসামি’ করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করছিলেন
নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মুঞ্জু।
মামলায় সদ্য বিদায়ী মেয়রে মাঈনউদ্দীন মাঈনুরব সাথে পদত্যাগ করা উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম রুবেলসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ আদালতের নির্দেশে ক্রমে মাসলাটি রুজু (এফআইআর) করেছে। এ কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার নব নির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাসের ‘দায়িত্ব গ্রহণ’ অনুষ্ঠানে গ্রেপ্তার আতংকে ওই বিদায়ী মেয়রকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। বিএনপির এই অভ্যন্তরীন কোন্দল এখন ‘টক অব দ্যা টাউন’-এ পরিণত হয়েছে।
পুলিশ, এবং মামলার এজাহার ও বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে জানা গেছে, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর পালন করার প্রাক্কালে গত ৭ নভেম্বর বিএনপির থানা কার্যালয়ের সামনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জুর ওপর পদত্যাগকারী ছাত্রদল নেতা হয়রত আলী ও রুবেলের নেতৃত্বে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়।
সে সময় বিএনপি নেতা মঞ্জুকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই সময়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনার চারদিন পর আহত মঞ্জু বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিদায়ী মেয়রকে ‘প্রধান আসামি’ করে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে অনুসন্ধান সাপেক্ষে ‘এফআইআর’ করার জন্য নবীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এদিকে একাধিক সূত্র থেকে জানাযায়, উপজেলা বিএনপির সদ্য পদত্যাগকারী বিদায়ী মেয়র মাঈনুদ্দিন এবার উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি আনিছুর রহমান মঞ্জুর ‘কূট কৌশল’র কারণে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।
এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচনের আগেই মেয়র মাঈনউদ্দিন ও একাধিক ছাত্রদল নেতা দল থেকে পদত্যাগ করেন। আর এর জের ধরেই বিক্ষুব্ধরা মঞ্জুর ওপর ওইদিন হামলা করে বলে সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মঞ্জু অভিযোগ করে ছিলেন প্রধান আসামির হুকুমেই অন্যান্য অভিযুক্তরা আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে অর্তকিতে হামলা চালিয়েছে। তাই আমি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
তবে নবীনগর পৌরসভা (মেয়র) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে তার কোনো কূট কৌশল ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ মামলার প্রধান আসামি বিদায়ী মেয়র মাঈনুদ্দিন মাঈনু বলেছিলেন , ঘটনার দিন আমি নবীনগরের ছিলাম না । এরপরও আমাকে এ মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি নির্দোশ প্রমাণিত হবো।
বিএনপির কোন নেতাকর্মীদের নিকট বিচার না চেয়ে আওয়ামীলীগের স্হানীয় সাংসদ এর নিকট বিচার চাওয়াটাকে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে নানা বিতর্ক ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।