বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আব্বা সেদিন বলেছিলেন– তোর একটা ছেলে হবে, আর সেই ছেলে স্বাধীন দেশে হবে। তোর ছেলে স্বাধীন দেশের নাগরিক হবে, তার নাম রাখবি ‘জয়’।
বঙ্গবন্ধু নিজেই তার সন্তান জয়ের নাম দিয়েছিলেন এই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলতেন– এই দেশ একদিন স্বাধীন হবে। একাত্তরের ২৩ মার্চ, আমি তখন সন্তানসম্ভবা। ওই সময় আব্বার হাত-পায়ের নখ আমি নিজের হাতে কেটে দিতাম। ওই দিন বাংলাদেশের পতাকা তোলা হলো। আমাদের বাসা ৩২ নম্বরেও পতাকা তোলা হলো। তিনি পতাকা তুলে এলেন, আমার কাছে বসলেন। আমি তার হাতের নখ কেটে দিচ্ছিলাম। আমাকে বললেন– তোর একটা ছেলে হবে, আর সেই ছেলে স্বাধীন দেশে হবে। ছেলের নাম রাখবি ‘জয়’। আমি দেখে যেতে পারব কিনা, জানি না। তবে তোর ছেলের নাম ‘জয়’ রাখবি। আমি আব্বার সঙ্গে সবসময় একটু বেশি কথা বলতাম। আমি বললাম, মেয়ে হলে নাম কী হবে? মেয়ের নাম দেন। তিনি মেয়ের নাম খুঁজতে গেলেন। খুঁজেটুজে পছন্দ হলো না। বললেন– না, তোর ছেলেই হবে। তুই ছেলের নাম ‘জয়’ রাখবি। সে স্বাধীন দেশের নাগরিক হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুক্তি পায় ১৬ ডিসেম্বর। আর আমরা মুক্তি পেয়েছিলাম ১৭ ডিসেম্বর। কারণ আমার আব্বাকে স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এর পর আমার মা, রাসেল, জামাল, রেহানা আমি গ্রেফতার হই। জামাল গেরিলা কায়দায় পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
সেসব দিনের কথা স্মরণ করতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ওই সময় আমরা যে বাড়িতে অবরুদ্ধ ছিলাম, সেখানে ছিল পাকিস্তানি পতাকা। আমরা মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মা সেই পতাকা নামিয়ে এনে পায়ে দলে আগুন লাগিয়ে দেন।