আশাশুনি, সাতক্ষীরাঃ ফাল্গুনের হাত ধরে যেন প্রকৃতি বদলাতে শুরু করেছে। চারদিক মৌ মৌ গন্ধে লাল সবুজের এই বাংলা যেন অপরুপ সৌন্দর্যে প্রকৃতির রঙ বদলাতে শুরু করছে। প্রকৃতি পরছে তার নতুন পোশাক। ফুল ও ফলের গাছপালা যেন মৌমাছির ভন ভন শব্দে মুখরিত। ধরনীর বুকে চারপাশের গাছগুলোতে যেন ফুল ও মুকুলে শোভা পাচ্ছে। বসন্তের প্রাকৃতিক এই শোভা সৌন্দর্য বাংলাজুড়ে হলেও এর কমতি নেই আশাশুনির পথ পান্তরে। বাড়ির আশেপাশে, ফলজ বাগানে আবার রাস্তার দু’পাশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েক হাজার গাছ। আর ক’দিন পরেই যেন মুকুলের পেট বেরিয়ে আসবে হাজার হাজার আম। গাছ ও বাগানের পরিচর্যায় অবিরাম সময় পার করেছেন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে সহ তাদের পরিবারের লোকজনেরা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তারা পানি দিয়ে আমের মুকুল ধোয়াসহ গাছের যতেœ ব্যস্ত। গাছ গুলো ছোট ও মাঝারি হওয়ায় পরিচর্যা যেন সহজ হয়ে ওঠেছে। এ অঞ্চলের মাটির গুনগত মান নির্নয় করে সখের বসে লাগানো গাছ ও বাগান মালিকরা বিশেষ করে হিমসাগর, আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, লতা ইত্যাদি আমের জাত লাগায়। ভাল ফলন পাওয়ার আশায় মুকুল দেখে উচ্চ লক্ষমাত্রা আকাঙ্খা করা হলেও ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ অঞ্চলের বাগান ও গাছে মালিকরা। উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন, এবারের আবহাওয়া আম চাষের জন্য এখন পর্যন্ত অত্যন্ত ভাল, যা আমের বাম্পার ফলনের জন্য উপযোগী। তবে সব কিছুই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে।