সাংবাদিককে সাধারণ জনগণের কাতারে ফেলে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার কর্তব্যরত দুইজন সাংবাদিককেে জরিমানা করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করে ফেরার পথে শ্যামনগর উপজেলা এসিল্যান্ড, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক কর্তৃক জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জরিমানা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বিএমএসএফ’র সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর অবিলম্বে দন্ডাদেশ প্রত্যাহার দাবী করেন। সাংবাদিক তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন তাতে দন্ড কেন? জানাগেছে, ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা উপজেলার ভেটখালী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে সোয়ালিয়া এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলেন এসি ল্যান্ড মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক। তিনি ঐ সময় সাংবাদিক এর মটর সাইকেল গতিরোধ করে বলেন আপনাদের পরিচয় কি? সাংবাদিকরা তাদের নিজ নিজ পরিচয় দান করেন এবং বলেন আমরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে গিয়েছিলাম। এসময় এসি ল্যান্ড মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক বলেন এক মটর সাইকেলে দুইজন কেন? সাংবাদিকরা বলেন সংবাদ সংগ্রহের কাজে দুইজন যাওয়ার জরুরী প্রয়োজন ছিল তাই গিয়েছিলাম। কোন কথা না শুনে এসি ল্যান্ড মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সাংবাদিক এস এম জাকির হোসেন এর মটর সাইকেলের পিছনে বসা সাংবাদিক মোঃ নুরুজ্জামানকে ০১/০৪/২০ইং তারিখে ১৮৬০ সালের ১৮৮ পেনাল কোড ধারামতে ২০০টাকা জরিমানা আদায় করেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রশ্ন উঠেছে সংবাদ সংগ্রহে যদি প্রশাসন কর্তৃক সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করা হয়, সংবাদ সংগ্রহে বাড়ির বাইরে গেলে জরিমান গুনতে হয় তাহলে সাংবাদিকরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব কি ভাবে পালন করবে?