গন্ডব গ্রামের ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় একটি গ্রুপের মাতব্বর মো. মিরাজ মোল্যা ও আহম্মেদ আলী মোল্য ২০টি ঢাল ও শতাধিক সড়কি জমা দেন পুলিশের কাছে। এছাড়া গন্ডব বটতলায় অপর গ্রুপের মাতব্বর ইউপি সদস্য সলেমান শেখ ১৫টি ঢাল ও প্রায় ৫০টি সড়কি জমা দেন।
অস্ত্র জমাদানকালে জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লব বলেন, ‘এলাকায় যাতে উভয়পক্ষ মিলে-মিশে থাকে এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সে চেষ্টাই থাকবে। দ্বন্দ্ব ভুলে সম্প্রীতির মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করতে চাই।’
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান উপস্থিতদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা চাই এলাকায় শান্তি-শৃংখলা বজায় থাকুক। মারামারি করে ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ নেই। মারামারির ঘটনা ঘটলে মামলা হবে। বর্তমান ডিজিটালের যুগ। কারো নামে মামলা থাকলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাক না কেন, কম্পিউটারে চাপ দিলেই সব তথ্য দেখা যাবে। তখন সরকারি চাকরি হবে না, কেউ পাসপোর্ট করতে পারবে না। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সও পাবে না। সরকারি অনেক সুযোগ সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হবে।’
তাই, এলাকার উন্নয়ন ও সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় রেখে সব পক্ষকে মিলেমিশে বসবাস করার তাগিদ দেন ওসি।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে চালিঘাট ও গন্ডব গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন জেলা পরিষদের সদস্য গন্ডব গ্রামের সুলতান মাহমুদ বিপ্লব, ইউপি সদস্য সলেমান শেখ, আশরাফ আলী মাস্টার ও সাহেব সিকদার। অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন গন্ডব গ্রামের মিরাজ মোল্যা, আহম্মেদ আলী মোল্যা ও মোস্তফা ডাক্তার।