শনিবার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সমাবেশ করেন।
সেখানে এই আন্দোলনের সমন্বয়কারী সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর; যখন ৫০ ছাড়াল তখন বয়সসীমা হলো ৩০ বছর।বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা এখনো অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এই পরিবর্তন আনা আবশ্যক।’সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও অভিজ্ঞতা ছাড়া ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নিয়োগ না দেওয়ায় বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরির সুযোগ কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বয়স ২৬-২৭ বছর হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে চাকরির বাজারে তিন-চার বছর প্রতিযোগিতা করে কর্মসংস্থান করা ‘দুঃসাধ্য’ হয়ে পড়ে।সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন জানান, ২০১২ সাল থেকে এই সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন করছেন তারা। এতদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবে এই যৌক্তিক দাবি জানিয়ে যাচ্ছি। বাস্তব দিক বিবেচনা করে আমাদের দাবি মেনে নেওয়াউচিত।তিনি জানান, আগামী ২১ এপ্রিল শাহবাগ মোড় থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাবেন তারা।