হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জে ৫০ টন গমসহ আটক করা হয়েছে একজনকে। বুধবার (২৭ মে) রাত ৯ টায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের মা মনি চালের মিলে মজুত করার সময় পুলিশ আটক করে। করোনার মধ্যে বিপুল পরিমাণ গম আটকের ঘটনায় জেলা জুড়ে তোলপাড় এর সৃষ্টি হয়েছে ।
একটি দায়িত্ব শীল সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলায় বেড়িবাধ সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ করা হয় জব্দকৃত গম। খাবিখা প্রকল্পের এ গম কাজ না করেই ভুয়া কাজের প্রকল্প দেখানো হয়। খাদ্য কর্মকর্তা নুরুল আমিনের সহযোগিতায় গম উত্তলনের ডিও কাগজ তৈরি করা হয়।প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত গম উত্তোলনকালে করে কালো বাজারে বিক্রির জন্য গোডাউনে মজুত করে রাখা হয়। এ গম বিক্রি করে কালিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল গফ্ফারের কাছে। কালিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল গফ্ফার একজন আলোচিত চাল ও গম ব্যাবসায়ি।তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্পের চাল ও গম ক্রয় করে আসছিলেন। আলোচিত ব্যাবসায়ি আব্দুল গফ্ফার কালো বাজার থেকে ৫০ টন গম ক্রয় করেন শ্যামনগর থেকে । ওই গম ট্রাকে এনে তার চালকলের গোডাউনে নামানোর সময় পুলিশ গম আটক করে।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) জানান, পুলিশ গোপনে জানতে পারে বিপুল পরিমান গম কালিগঞ্জ উপজেলার একটি গোডাউনে নামানো হচেছ।গমের চালানটি এসেছে শ্যামনগর থেকে । কালো বাজারে বিক্রিকৃত গম নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশের একটি টিম আব্দুল গফ্ফারের চালের মিলে অভিযান চালান। আটক করা হয় ৫০ টন গম।তিনি বলেন বাঁধ মেরামতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য খাবিখা প্রকল্পের জন্য গম বরাদ্দ দেওয়া হয়।কাজ না করেই ওই বিপুল পরিমাণ গম কালো বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়।বিস্তারিত তথ্য সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।তিনি বলেন করোনা ও ঝড়ের মধ্যে মানুষ বিপদের মধ্যে রয়েছে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জেলা খাদ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।