সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরায় আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাদক চোরাচালান চক্রগুলো। জেলাশহরের বিভিন্ন স্থানে ও সীমান্ত এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে প্রতিনিয়ত আসছে ফেনসিডিল,ইয়াবা,গাঁজাসহ সব ধরণের মাদকের বড়ো বড়ো চালান। আর এসব মাদকের চালান জেলা শহর ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছে চিহ্নিত প্রভাবশালী চোরাকারবারিরা।
তথ্য অনুসন্ধানে জানাজায় ভারত থেকে চোরা পথে আসা মাদকের চালান গুলো ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে পাচার করছে চোরাচালান চক্রগুলো। জানাজায় জেলার শাঁখরা,পদ্মশাঁখরা,ভোমরা,তলুইগাছা,ভাদলি,কেড়াগছি,হিজলদী,বৈকারি,ঘুনা,বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে গভীর রাতে দলবেঁধে মাথায় করে মেঠোপথ দিয়ে পায়েহেটে সশস্ত্র পাচার কারীরা মাদকের চালান পৌছে দেয় নিদিষ্ট স্থানে। সেখান থেকে ট্রাকে অথবা প্রাইভেট কার,বিলাসবহুল গাড়িতে করে মাদকের চালান সরবরাহ করাহচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছে,করোনা ভাইরাসের কারণে ভোমরা স্থলবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আমদানি রফতানির সাথে সাথে ট্রাক ও যানচলাচল বন্ধ থাকায় মাদক চোরাকারবারিরা কৌশলে মাথায় করে মেঠোপথ দিয়ে পায়ে হেটে কুলিয়া,বহেরা,বহেরা ইট ভাটা,আলিপুর, বাঁকাল,শহরের বাইপাস সড়কের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে সেখান থেকে ট্রাকে অথবা প্রাইভেট কার বোঝাই করে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানাযায় শহরের বাঁকাল,কামালনগর,ইটাগাছা,সঙ্গীতার মোড়,বড়বাজার,পলাশপোল,খুলনা রোড় মোড়,মধুমালার ডাঙ্গী,কাটিয়া,উত্তর,কাটিয়া,রসুলপুর,বাস টার্মিনাল,পুরাতন সাতক্ষীরা,লাবসা বাইপাস সড়কের গ্যারেজ মোড়ে অবাধে বিক্রি ইচ্ছে ইয়াবা,ফেনসিডিল,গাঁজাসহ সবধরনের খুচরা মাদক। শহরের বাইরে মাদক বিক্রি হচ্ছে বাবুলিয়া,জামতলা,পরানদা,লাবসা,কাশেমপুর,থানাঘাটা,বেতলা,ঝাউডাঙ্গা,মাধবকাটি,বিনেরপোতা,কদমতলা,আবাদের হাট,ভোমরা,বাদামতলা,আলিপুর,বহেরা ভাটার মোড়ে,ঘুনা,কাথন্ডা,বৈকারী,কুশখালি এলাকায়।
খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন মোটরসাইকেল প্রাইভেটকারে করে আসা শত শত মাদকসেবিদের ভিড়ে জমজমাট থাকতে দেখাযায় এসব মাদক স্পট গুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।
এসব এলাকায় বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেছে,অনেক মাদক ব্যবসায়ী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা পুলিশের তালিকা ভুক্ত। তাদের নামে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। অনেকে পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে ছিল,বহুদিন পর ফিরে এসেছে বাড়িঘরে,আবারো যুক্ত হয়েছে মাদক ব্যবসায়।