আজ রবিবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে অনন্য অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ স্বীকৃতি পুরষ্কার হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বারদান জাং রানা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ টিম এসিস্ট্যান্স (এনসিডি) সুরাইয়া আকতার, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারি পরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী (তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প) মো: মোখলেছুর রহমান এবং স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২০ উপলক্ষে এটি ঘোষনা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি পুরষ্কার প্রদান করা হয়। কিন্ত এ বছর করোনা মহামারী অবস্থা বিবেচনায় এনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ কার্যালয়ে এ পুরষ্কার হস্তান্তর করা হয়। তামাক কোম্পনীর কূটচাল বন্ধে এবং তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার্থে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এই বিশেষ স্বীকৃতি পায়।
উল্লেখ্য, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ১৯৯০ সাল থেকে তামাকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য জনসাধারনকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা, তামাক কোম্পানির কূটচাল থেকে শিশু-কিশোর ও তরুন সমাজকে রক্ষা করে একটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা। এ লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ প্রনয়ণ ও ২০১৩ সালে সংশোধনে নীতিনিধারকদের সাথে এডভোকেসী করা। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন স্থানীয় সরকার বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সহ অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেস্তোরাঁসমূহের জন্য তামাক ও ধূমপানমুক্তকরণ গাইডলাইন/নির্দেশিকা প্রনয়ণে সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গবেষনা কার্যক্রম পরিচালনা, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি ও জনসচেতনা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।