রেজাউল ইসলাম মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
গভীর রাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো আয়নাল হকের পুরো পরিবার। একটি সাজানো সংসার,একটি স্বপ্ন নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। অথচ নেই কোন আলামত। এমন কোন ক্লু নেই যার সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যায়। হত্যাকারীকে ধরতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। করবেনই বা কিভাবে যেখানে তিনটি খুন করার পরেও খুনিরা স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করছে,এমনকি খুন করে তাদের জানাজা নামাজেও অংশ নিয়েছে, কিন্তু এরা কোন পেশাদার খুনি চক্র নয়। এমনি মুহুর্তে একটি দাবার চাল ছুড়ে দিলেন মঠবাড়িয়া থানার অন্যতম ইন্সপেক্টর তদন্ত আঃ হক সাহেব। রীতিমত কাজে দিলো কৌশলটি। সংগ্রহ করলেন এলাকার চোর, বাটপার, ইভটিজারদের মোবাইল নাম্বার। খুনিদের একেবারে কাছাকাছি চলে আসলেন। সন্দেহ হলো অলি বিশ্বাস (৩৮) কে। অলির ব্যবহ্রত মোবাইল নাম্বারটি পুুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়ে কন্ট্রাক্ট ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে দেখা যায় অলির অবস্থান ৩০ জুলাই আয়নালের বাড়ির পাশেই ছিল, অথচ এসময় অলির এখানে থাকার কথা নয়। ব্যাপারটি সন্দেহ হলে ইন্সপেক্টর তদন্ত আঃ হক সাহেব,পিরোজপুর ডিবি পুলিশের কনস্টেবল মনিরকে সাথে নিয়ে সোর্সের মাধ্যমে ধানীসাফা বাজার থেকে গ্রেফতার করেন অলিকে, পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে ঠান্ডা মাথায় খুন করার কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেন। অলির দেয়া তথ্যমতে তাঁর সহযোগী রাকিব ব্যাপারী (২০) কে গ্রেফতার করেন মঠবাড়িয়া থানা ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকষ টিম। এরপর খুনিদের দেয়া তথ্যানুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহ্রৃত অস্ত্র ও লুন্ঠন করা কিছু মালামাল উদ্ধার করেন, জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খাঁন, মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন, মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ অন্যতম চৌকষ পুলিশ অফিসার আবু জাফর মোঃ মাসুদুজ্জামান, এঘটনায় খুনি অলি বিশ্বাস ও রাকিব ব্যাপারী ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।