বগুড়া জেলা গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের ছেলে এই রায়হান বুলু,(৫৫) পিতা মৃত ইয়াদুল্লা প্রামানিক।ফুটবল প্রশিক্ষক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।রায়হান বুলু একজন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক মনা ব্যাক্তি। সে প্রায় ২৬ বছর যাবত প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে ফুটবল প্রশিক্ষন দিয়ে আসছেন। প্রশিক্ষক হিসাবে স্বেচ্ছাশ্রমে খেলা ধুলা শিক্ষা প্রধান করিয়া আসিতেছ। পরের কারণে শার্ত দিয়া বলি জীবন মন সকলী দেও তার মত সুখ কোথাও কি আছে , আপনার কথা ভুলেই যাও। নিজের কথা ভুলে কিশোরদের ফুটবল প্রশিক্ষন দেন এই বুলু।প্রশিক্ষন দিতে গিয়ে রায়হান বুলু হারিয়ে তার প্রায় সব কিছু। সারা জীবনের জমানো সঞ্জয় খরচ করছেন এই কিশোরদের জন্য। রায়হান বুলু এক সময় ছিলেন দিন মজুর। বতর্মানে তিনি কদমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দারোয়ান। তার প্রায় জমানো ৩ লক্ষ টাকা বিলিয়েছেন এই অচেনা অজানা কিশোর দের মাঝে আমি কিশোর দের মাঝে প্রশ্ন করে ছিলাম বুলু র্কোস হিসাবে কেমন লোক? কিশোরা তাদের উত্তরে বলেন রায়হান বুলু কে আমরা দাদু বলে ডাকি। তিনি না খেয়ে আমাদের কে খাওয়ান। আমাদের মাঝে কেউ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে তিনি ওষুধ কিনে দেন। এবং যদি কেউ নিয়মিত উপস্থিত না হয় তাহলে বাড়িতে গিয়ে খোজ খবর নিয়ে আসেন। তার বাড়িতে আমরা প্রতি শুক্রবার দাওয়াত খেতে যাই। তিনি আমাদের কে মজার মজার খাবার রান্না করে খাওয়ান। এলাকা বাসির সূত্র পাওয়া যায় এই রায়হান বুলু বাচ্চা দের অনেক আদর করেন। বাচ্চা ছারা তার দিন কাটে না। বাচ্চা তার নিজের সন্তানের মত মনে করেন। এই রায়হান বুলু কারণেই উপজেলা জেলা এবং বিভাগীয় প্রর্যন্ত খেলে এসেছে এই বাচ্চারা । তিনি এলাকার লোক দের কাছে কোন সাহায্য সহযোগিতা হাত পেতে নেয় নি। রায়হান বুলু কে প্রশ্ন করছেন আপনি এই কাজ কেনো করেণ? উত্তরে তিনি বলেন এই প্রশিক্ষন দিতে আমার ভালো লাগে। এই প্রশিক্ষণ দিয়ে আমি বাচ্চাদের মাঝে সারা জীবণ বেচে থাকতে চাই। মানুষ তো আর সারা জীবন বাচতে পারে না আমি চলে গেলে তারা আমাকে মনে করবে নামাজ পড়তে বসে আমার জন্য দোয়া করবে এটাই জীবনের বড় পাওয়া। বুলু আর বলেন আমার এখানে প্রশিক্ষত প্রায় ২০ জন ছেলের সরকারী চাকরি হয়ছে। কেউ পুলিশ কেউ সেনাবাহিনী আর অনেক কিছু আছে। রায়হান বুলু ফুটবল প্রশিক্ষণ দেন নিজের চিষ্টা ও নিজ অর্থ দিয়ে। ফুটবল তার ধ্যান জ্ঞান। রায়হান বুলু একজন সেচ্ছাসেবক র্কোস।রায়হান বুলু গাবতলী উপজেলার গর্ব। যিনি মনে করিয়া দেন সকলের তরে সকলী আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।