ফুলপুর উপজেলার রহিমগন্জ ইউনিয়নের শুলাখালী গ্রামে সরকারের নিয়মবহিভূত ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি বিহীন এ. হক নামের ইটভাটা স্থাপন করে অবৈধ ভাবে ইট পোড়ানোতে বিপর্যয় ঘটছে কৃষি জমির, ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে কৃষক-জনসাধারণ, নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশের।
উর্বর ফসলি জমির উপরি স্তরের মাটি কেটে নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে ক্ষতির সম্মুখে পরছে কৃষক, ধোয়ায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও মৌসুমী কৃষি শাঁক,সবজি।
ইট প্রস্তুতের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে শিশু শ্রমিকদেরকে। রাস্তায় ইটভাটার গাড়ীর বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। এর বিরূপ প্রভাব পরছে ৪/৫টি গ্রামের মানুষের। জনবহুল স্থানে এ. হক নামের ইটভাটা বন্ধের দাবীতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলপুর উপজেলার ৭ নং রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের জনবহুল স্থানে এ.হক নামে ইটভাটা স্থাপন করে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধ ভাবে ইট পোড়ানো হচ্ছে। সেখানে ইট প্রস্তুতে কেটে আনা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। জন চলাচলের পথ ব্যবহার করে ইটভাটার ট্রাক, লড়ি, ড্রামট্রাক চলাচল করায়, পথ চলাচলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্হানীয় এলাকাবাসীর।
এছাড়াও কোমলমতি শিশুদের স্কুল, মাদ্রাসা ও
কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। ধুলো বাঁলিতে অন্ধকারে ছেয়ে যায় পথ, এতে শিশুরা ভিবিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনসাধারণ।
স্হানীয়দের ভাষ্যমতে-
চংপলাশিয়া, মাটিচাপুর, তিতপুর,ধীতপুর, চিতলীয়া সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই ইটভাটার কারণে বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
বিশেষ করে বর্ষা কালে এ.হক ইট ভাটার কাজে ব্যবহৃত গাড়ির কারণে রাস্তার নাজেহাল অবস্হা সৃষ্টি হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন ধরে তাদেরকে রাস্তায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
অপর দিকে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা অন্যান্য কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সরকারও হারাচ্ছে বিশাল রাজস্ব।
স্থানীয় প্রশাসনকে আইনানুগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি, ইটভাটাটি সেখান থেকে স্থানান্তরের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওয়ালিউল হক সরকার (রিপন) জানান, এ.হক ইটভাটাটির কারণে এলাকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে ক্ষতি গ্রস্তের সম্মুখীন হতে হচ্ছেন। কৃষি উৎপাদন ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি, রাস্তার পাশে অবস্হিত মৎস্য চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। এই ইট ভাটায় শিশুদেরকে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হলে, ফুলপুর উপজেলার সিনিয়র কৃষি অফিসার আব্দুল আল মামুন, পরিবেশ রক্ষার্থে বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ট সমাধানে ব্যবস্হা গ্রহণের আশ্বাস জানান।