হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে শনিবার ( ১৬ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় ভাড়াশিমলা গ্রামের শেখ আব্দুল করিমের পুত্র সেখ মঞ্জুরুল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ রাখেন। কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু’র সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন গত ১৪ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে দৈনিক দৃষ্টিপাতসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত কালিগঞ্জে সৎস্য ঘের জবর দখল। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাসায় আগুন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হহয়েছে। উক্ত সংবাদটি দৃষ্টি আকর্ষন হওয়ায় অত্র বিষয়ের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। উল্লেখ্য যে ১/ শেখ রমজান আলী পিতা মৃত আব্দুল মোতালেব সং ভাড়াশিমলা ২/ লক্ষিপদ সাহা পিতা নকুল সাহা সং কামদেবপুর দ্বয় জাল জালিয়াতি জবর দখলকারী ভূমি দস্যু হইতেছে। তারা যোগ সাজসী ভাবে এসএ ৩৪৫ খতিয়ান ভূক্ত রেকর্ডিও মালেক মৃত শেখ আব্দুল গফ্ফারের ৮.৯৬ শতাংশ জামির স্থলে সেটেলমেন্ট জরিপ আপিল স্থরে গোপনীয় ভাবে শেখ আব্দুল গফ্ফারের নাম কাটিয়া সম্পন্ন জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করেছে। শেখ আব্দুল গফ্ফার নিঃস্তান হওয়ায় তার স্ত্রী আছিয়া খাতুনের নাম ব্যবহারে বিভিন্ন জ্বাল জালিয়াতির দলিল সৃষ্টি করে। অথচ দলিলে শেখ রমজান আলী আছিয়া খাতুনকে জমি বিক্রির জন্য পাওয়ার দিয়েছে। অথচ আছিয়া খাতুন কোন নিজে লেখাপড়া জানেনা। আছিয়া খাতুন তাহার জীবদ্দশায় সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকে গিয়ে এফিডেফিট করেছে এবং উক্ত এফিডেফিটে উল্লেখ করেছে যে আমার ভাইপো শেখ রমজান আলী, আমার স্বামীর ওয়ারেশদের সম্পত্তি ফাঁকি দেওয়ার জন্য আমার ঘুমের ঔষধ খাইয়ে টিপ স্বাক্ষর নিয়ে দলিল সৃষ্টি করেছে। এবং কিছু কিছু দলিল আমার নাম ব্যবহারে করে চালাকী করে তাহার স্ত্রীকে দিয়ে দলিল সৃষ্ঠি করেছে। আমি আছিয়া খাতুন বলতে চাই আমার ভ্রাতুষ পুত্র রমজান আলী আমার ও আমার স্বামীর সম্পত্তি একা পাবে না। আমাদের মৃত্যুঅন্তে ইসলামীক ফারায়েজ মোতাবেক সমস্ত ওয়ারেশরা সম্পত্তি প্রাপ্ত হবে। বিরোধীয় সম্পত্তি শেখ রমজান আলীর ভগ্নিপতি শেখ আব্দুর রশিদ প্রায় ২০/২২ বছর যাবৎ মাছের ঘের করত। রশিদের সত্ত থাকায় তাহাকে মারপিট করিয়া ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে শেখ রমজান আলী ও লক্ষিপদ সাহারা ঘের হইতে বিতাড়িত করে। গত ২/৩ বছর যাবৎ লক্ষিপদ সাহা রমজান আলী কুপরামর্শ কাহাকেও হারির টাকা দিচ্ছেনা। অথচ ১/ আমি শেখ মঞ্জুরুল ইসলাম পিতা শেখ আব্দুল করিম ২/ শেখ জাকির হোসেন পিতা মৃত শেখ মোজাম্মেল হক উভয় সাং ভাড়াশিমলা সম্পন্ন বৈধ ভাবে বাংলাদেশ সরকার এসএ রেকর্ডিও মালিকের কাছে হস্তন্তর করার পর জমি খরিদ করেছি। অথচ শেখ রমজান আলী পিতা মৃত শেখ মোতালেব আলী সরকারের মালিকানা থাকার সময় সম্পুন্ন তঞ্চকী ভাবে এসএ রেকডিও মালিক আব্দুল গফ্ফারের নামে মাঠ রেকর্ড করে বিভিন্ন দলিল সৃষ্ঠি করেছে।অথচ সরকার গত ইংরেজী ১২/৪/২০০০ তারিখে এসএ রেকর্ডিও মালিকের অনুকুলে জামি হস্তন্তর ও দখল বুঝাইয়া দেয়। শেখ রমজান আলী ও লক্ষিপদ সাহা যোগ সাজসী ভাবে বিরোধীয় সম্পত্তি সরকারের মালিক থাকা অবস্থায় স্বত্তহীন দলিলের মাধ্যমে জবর দখল করে রােখেছে। আমরা শেখ মঞ্জুরুল ইসলাম গং সরকার জমি এসএস রেকর্ডিও মালিকের অনুকুলে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাহার স্বত্ত সৃষ্টি হইলে খরিদ করেছি। সেহেতু আমরা ইক্ত জমির মুল হকদার। যেহেতু আমরা জমির মালিক সেহেতু আমাদের খরিদা দলিল মোতাবেক আমরা দখলে গিয়েছি। আমরা জমি দখলে যাওয়ার পর আজকের শেখ রমজান আলী ও তাহার দোসর লক্ষিপদ সাহা আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য কয়েক দফা হামলা চালিয়েও ব্যার্থ হয়ে গত ইং ১৩/১/২০২১ তারিখ রাত অনুমান ১২টা ৩০ টায় ১৫/২০ জনের সস্ত্র বাহীনি নিয়ে আমাদের ঘেরের পাহারাদারকে ব্যাপক মারধর করে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেধে মৎস্য ঘেরের ঘরে আগুন জালিয়ে দেয়। তাদের হাকডাক চিৎকার শুনে পথচারীদের আগমন বুঝতে পেররে তারা বিভিন্ন আশফলনের মাধ্যমে ঘের হতে দ্রুত চলে যায়। গত ১৪ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে দৈনিক দৃষ্টিপাত সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং তাহাদের আগুন জ্বালানোর বিষয়ে আমাদের উপর দোষ চাপানোর কৌশল মাত্র।