কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জের সীমান্ত নদী ইছামতির নদীর চরে খানজিয়ায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দূবৃর্তদের হামলায় শ্লীলতাহানীসহ একাধিক নারী আহত হয়েছে। স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বর থেকে কল দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টায় দিকে উপজেলার খানজিয়া বাজার ও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ভেঁড়ি বাধেঁর উপর এঘটনা ঘছে। সরেজমিন গেলে দেখা যায়, সীমান্ত নদী ইসামতির খানজিয়া বিওপি সংলগ্নের ভেঁড়ি বাঁধের পাশে ২৫টি পরিবার দীর্ঘ দিন যাবৎ বসাবস করছে। কথিত নেতা শমসের আলী নেতৃত্বে স্থানীয় বালু ব্যাবসায়ী রাশিদুল, মোকছেদ, গহর আলী, মানিক, ইসমাইল, হালিম, আজগরসহ কিছু ব্যাক্তি বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন স্লুইজ গেটের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে গায়ের জোরে বালুর ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কিন্ত ঐ বালু রাখার ফলে বাতাসে উড়ে ভেঁড়ি বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বসাবসকারী, বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষাথর্ী, বিজিবি‘র সদস্যরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। বিষয়টির প্রতিকার পেতে এলাকাবাসি উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন সুফল পাইনি। অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর, গ্রামবাসিও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মুজিবর্ষকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য ১ নম্বর ওয়ার্ডের নদীর চরে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই বৃক্ষরোপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে খানজিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ইছামতি নদীর ভেঁড়িবাধের পাশে বিভিন্ন ধরণের কয়েক‘শ বৃক্ষ রোপন করে। এদিকে বালু রাখার স্থলে গাছ লাগানোর কারণে ঐ জায়গা দখলে নিতে বালু ব্যবসায়িরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের কুট কৌশল আটতে থাকে। এরই জের ধরে বালু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এসে শনিবার সকালে মুজিববর্ষের সাইনবোর্ড ছিড়ে ফেলে ও গাছ কেটে সাবাড় করে নদীতে ফেলে দেয়। এবং বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা নারীদের শ্লীলতাহানীসহ বেদম মারপিট করে। এসময় ২৫টি পরিবারের লোকজ তাদের কাছে জিম্মী হয়ে পড়ে। এসময় খানজিয়া ভেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারী আরাফাত হোসেনের স্ত্রী লাইলা পারভীন (৫৫), ইছানুর রহমানের স্ত্রী নূর নাহার (২৭), আকরাম হোসেনের স্ত্রী ফরিদা খানম, সাবুর আলীর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২) ও রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা খানম (২৪) মাহমুদ শেখের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৪০) ফজর আলীর কন্যা সাবিনা খাতুন (৪১) কে শ্লীলতাহানী ও মারপিট করে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এবিষয়ে নলতা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুব রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খানজিয়া ভেঁড়িবাধের পাশের বাসিন্দারা বালু উত্তোলন বন্ধের দীর্ঘদিন প্রতিবাদ করে আসছে। বালু উত্তোলন ও ব্যবসার কারণে স্বাস্থ্য ও শব্দ দূষনের পাশাপাশি পরিবেশ মারাত্মক হুমকীর সম্মুখিন হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের খানজিয়া ডি এস-৭ (এ) স্লইজগেটের পাশে বালু উত্তোলন বন্ধে পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক মল্লিক নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু সেটি উপেক্ষা করে উল্লেখিত ব্যাক্তিগন হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে মুজিব শতবর্ষের লাগানো শতাধীক গাছ কেটে, বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড ভাংচুর ও নারী শিশুদের উপর হামলা করেছে এটা খুবই দুঃখ জনক। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে খানজিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সুকুমার ও সেক্রেটারী ইদ্রিস আলী এবং ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানসহ ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।