চাইনিজ মালিকানাধীন একটি জাহাজে 04 (চার) জন বাংলাদেশী কর্মরত থাকা অবস্থায় 2019 সালে মাদাগাস্কারের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হন। মাদাগাস্কার কর্তৃপক্ষের দাবী তারা অবৈধ কাঠ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মাদাগাস্কারের জলসীমায় প্রবেশ করে। অন্যদিকে বাংলাদেশী কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী তারা শুধুমাত্র শ্রমিক হিসেবে জাহাজে কর্মরত ছিল। জাহাজের গতিবিধি সম্পর্কে তারা অবগত নন। জাহাজের নাবিক এ বিষয়ে বলতে পারবে। জাহাজের নাবিকসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ চাইনিজ এবং মায়ানমারের। তারা সবাই এখন আটক রয়েছেন। মাদাগাস্কারের কোর্ট তাদেরকে 5 বছরের কারাদন্ড প্রদান করায় 2019 সাল থেকে তারা জেলে এ দন্ড ভোগ করছেন। উক্ত চারজনের মধ্যে 02 (দুই) জন হলো মো: হাসিব সরকার, চিতলমারী উপজেলা এবং মো: আল ইমরান, মংলা উপজেলা। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তারাই একমাত্র পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। জেল থেকে তারা জানিয়েছেন, তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের পরিবার নিদারুন আর্থিক সংকটে রয়েছে। এ বিষয়টি মরিশাসে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত আমার ছোট ভাই কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম আমাকে জানালে আমি আজ তাদের পরিবারকে খুজে দুই দফায় চিতলমারী ও মংলা উপজেলার ইউ এন ওর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করি । পাশাপাশি মরিশাস দূতাবাস তাদের মুক্তির বিষয়ে যাতে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যায় সে বিষয়ে সর্বাত্বক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করি ! মহান সৃষ্টিকর্তা তুমি আমার বাগেরহাট জেলার ঐ দুইজন শ্রমিকের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্হা করে দাও ।