পটুয়াখালীর বাউফলে ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করলেন কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। কিশোরীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের বিয়ে নিয়ে বর্তমানে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান নামের এক যুবকের সঙ্গে চুনারপুল এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে নাজনিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক চলছে। নাজনিনের বাবা ওই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিনি বিয়ষটি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের কাছে নালিশ করেন।
শাহিন হাওলাদার চুনারপুল বাজারে শুক্রবার শালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানে রমজান ও নাজনিনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শালিস বৈঠকে নাজনিনকে দেখে চেয়ারম্যান শাহিন নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দেন। নাজনিনের বাবা সম্মতি দেয়ায় জুম্মার নামাজের পর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
এদিকে প্রেমিকাকে চেয়ারম্যান বিয়ে করায় ক্ষোভে কষ্টে বিষপান করেন প্রেমিক রমজান। শুক্রবার বিকালে অচেতন অবস্থায় রমজানকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুুপুর পর্যন্ত রমজানের জ্ঞান ফেরেনি। দুই সন্তানের জনক চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আর নাজনিন আক্তার কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র শীল বলেন, বিয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজনিন তার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে দাবী করেন। কিশোরী মেয়েকে বিয়ের ঘটনায় চেয়ারম্যানকে নিয়ে বর্তমানে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
এ ব্যাপারে শাহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি। এছাড়া আমার বিয়ে প্রয়োজন ছিল।
কনের বয়স কম, তিনি বাল্য বিয়ে করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনার ভাবির জন্ম তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৩। তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। ৩ বছর হয় লেখাপড়া বাদ দিয়েছেন। বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত নন বরং আনন্দিত।
বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।