প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান সংবিধানপ্রণেতা ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা চাই আপনি (প্রধানমন্ত্রী) সংবিধান মেনে দেশ চালান। সংবিধানকে মেনে চলেই ভালো কাজ সম্ভব। সংবিধানকে অমান্য করে কোনো ভালো কাজ সম্ভব নয়।
শুক্রবার (১৭ আগষ্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত এক সংহতি সভায় তিনি একথা বলেন। ঈদের আগে নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, দয়া করে মুক্তি দিন শিক্ষার্থীদের। ঈদের সময় একটা উদারতার পরিচয় দিক এটা আমরা চাই। খ্রিস্টানরাও তাদের বড়দিনকে সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। আমি একশত ভাগ নিশ্চিত বঙ্গবন্ধুর কাছে আইনমন্ত্রী হিসেবে আমি এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তিনি অবশ্যই কোনো রাখঢাক না করে ক্ষমা করে দিতেন।
ড. কামাল বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে এটাই তো চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছে এর চেয়ে কম আশা কীভাবে করি? কাজেই আশা করি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে এ দাবি করছি।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতেও প্রস্তুত। আমরা গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাই। বন্ধ হোক গ্রেপ্তার নিপীড়ন নির্যাতন। তিনি বলেন, কেউ চায় না এভাবে নির্যাতন হোক, হাতুড়ি দিয়ে কারও পা ভেঙে দিক এটা কেউ চায় না। এটা কারা করেছিল? কে করেছিল? সে ব্যাপারে একটা পদক্ষেপ নিতেই হবে। ন্যায়নীতির ভিত্তিতেই আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারি।