ভারতের নাগাল্যান্ডের মন জেলায় ওটিঙ এ সেনাবাহিনী ভুল করে গুলি চালায় শ্রমিকদের উপর, বললেন অমিত শাহ। । আজ ভারতের লোকসভা ও রাজ্যে সভাতে গতকালের নাগাল্যান্ডের মন জেলার অন্তর্গত ওটিঙ গ্রামে ভুল বসস্ত সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং অসম রাইফেলের সদস্যরা গুলি চালায়। যা থেকে প্রায়, ১৭,গ্রামিন, শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে গ্রাম বাসিন্দাদের হামলায় নিহত হন এক, ডিমাপুরে অবস্তিত সেনাবাহিনীর, ০৬,কোরের, সদস্যোর। ঔ ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে খবর আসে মন জেলার অন্তর্গত ওটিঙ গ্রামে কিছু উগ্রপন্থী জড়ো হয়েছে। সেই সময় ভারতের সেনাবাহিনীর নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের, ০৬,নম্বর, কোরের সদস্য ও অসম রাইফেলের সদস্যরা ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা। এমন সময় ওটিঙ গ্রাম থেকে শ্রমিক বোঝাই একটি গাড়ি মন জেলার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তখন ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভাবতে থাকেন যে এটি উগ্রপন্থীদের গাড়ি। তখন কিছু বোঝার আগেই চ্যালেঞ্জ করে গুলি চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং অসম রাইফেলের সদস্যরা। এই ঘটনায় ভারতের সেনাবাহিনীর মোট, ২১,জন, সেনা অংশ নেন। কিছু বোঝার আগেই ঘটনার স্থানে মৃত্যু হয় স্হানীয় নাগাল্যান্ডের ওটিঙ গ্রামের, ১৭,জন, নিরহ শ্রমিক। ঘটনার খবর পেয়ে জড়ো হয় স্হানীয় নাগাল্যান্ডের মন জেলার অন্তর্গত ওটিঙ গ্রামের মানুষ। তারা সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালায় এবং সেই হামলায় নিহত হন, ডিমাপুরের, ০৬,নম্বর, কোরের এক সদস্যোর। এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা। ঘটনার স্হানে ছুটে আসেন বিশাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এখনো পর্যন্ত উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনার গভীর শোক প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতের সরাস্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এবং ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা শ্রী অধীর চৌধুরী এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা শ্রী রাহুল গান্ধী। এই ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় সরকারের সরাস্ট্র মন্ত্রী। এবং নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নেইফিউ রিও আলাদা করে গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্ত করার নির্দেশ দেন। সম্প্রতি ভারতের অসম ও মনিপুর এবং নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন যায়গায় উগ্রপন্থীদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে মাঝে তারা ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালাচ্ছে । কিছু দিন আগে অসম রাইফেলের এক কম্যান্ডের ও তার বাহিনী র উপর হামলা চালায় উগ্রপন্থীদের একটি দল। তখন অসম রাইফেলের এক কামান্ডার নিহত হন এবং সঙ্গে আরো সাতজন অসম রাইফেলের সদস্য নিহত হন। এর পর থেকে ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা জাতীয় সড়ক ও বিভিন্ন যায়গায় চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ আলফা ও মনিপুর পি ওয়ার গ্রুপ এবং নাগাল্যান্ডের আইজ্যাক মুইভা রা ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ভারতের মধ্যে প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে ভারতের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের ঘন জঙ্গলে প্রবেশ করে যাচ্ছে। ঔ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ও নদী নালা ভর্তি যায়গায় ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যদের তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অসুবিধা হয়। সেই সুযোগে তারা হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।।